আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। ১২ জুন মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনের ছাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ড্রিমলাইনার এআই-১৭১। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন ১২ জন ক্রু মেম্বার, ২২৯ জন যাত্রী এবং দুর্ঘটনাস্থলে থাকা আরও ৩৪ জন সাধারণ নাগরিক। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচেছেন কেবল একজন যাত্রী।

এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে দুটি ব্ল্যাক বক্সের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার পরদিনই, সেই হস্টেলের ছাদ থেকে যেখানে বিমানটি প্রথম আছড়ে পড়েছিল। দ্বিতীয়টি পাওয়া যায় তিন দিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচে। দুটি ব্ল্যাক বক্সই পাঠানো হয় ডিজিসিএর অধীনে তদন্তকারী সংস্থা এএআইবির দফতরে।

২৪ জুন মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে ওই দুটি ব্ল্যাক বক্স দিল্লিতে আনা হয়। রাতেই প্রযুক্তিবিদরা তথ্য উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের মতে, বিমানের সামনের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (সিপিএম) এবং পরদিন মেমরি মডিউল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করা হয়েছে। এখন চলছে CVR (Cockpit Voice Recorder) এবং FDR (Flight Data Recorder)-এর বিশ্লেষণ।

বিশেষজ্ঞ মহলের আশা, এই তথ্য বিশ্লেষণের পরেই পরিষ্কার হবে কীভাবে এতদিন দুর্ঘটনামুক্ত থাকা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আচমকা এমন মর্মান্তিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। দেশের প্রতিটি নাগরিক এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়, কবে ফাঁস হবে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার আসল রহস্য।


আরও পড়ুন – বিহারকে সামনে রেখে NRC চালুর ষড়যন্ত্র! নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা তুলে ধরে বিস্ফোরক মমতা


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_