সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলা। উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Delhi) একটি সরকারি হাসপাতালে ‘মদ্যপ ও অচৈতন্য অবস্থায়’ ভর্তি ছিলেন এক মহিলা। কিন্তু সেখানেই অন্য এক রোগী তাঁকে যৌন নির্যাতন (Sexual Harrasment) করার অভিযোগ ওঠে। অবশেষে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে (Delhi) একাই থাকতেন কুড়ি বছরের ওই নির্যাতিতা তরুণী। গত সপ্তাহে প্রতিবেশীরা তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখে জগ প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে (Jag Pravesh Hospital) ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। সেখানে জানানো হয়েছিল যে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
গত সোমবার হাসপাতালের তরফে কর্মীরা পুলিশকে জানান যে একই ওয়ার্ডে এক পুরুষ রোগী সেই তরুণীকে যৌন হেনস্থা করেছে। অভিযুক্ত তাঁকে যৌন নির্যাতন করার ফলে তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটে বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর, পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তারপরেই যৌন হেনস্থার ঘটনায় দিল্লির কাচ্চি খাজুরির বাসিন্দা মহম্মদ ফৈয়াজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ওই মহিলাকে জিটিবি হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে নিউ উসমানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ডিসিপি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। স্বাভাবিকভাবেই এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীকে এরকম নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হল এবং তিনি মারা যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠছে সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর সাথে এতটা বর্বরতা কীভাবে সম্ভব? নিরাপত্তারক্ষী এবং প্রশাসন কি ঘুমিয়ে ছিল? হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা কি কাজ করছিল না? হাসপাতালের ভেতরে একজন রোগীর সাথে এটা হতে পারলে রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলা যে একেবারে বিপর্যস্ত সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–