শিক্ষা থেকে নিয়োগ, সামাজিক ব্যধি – সবেতেই রাজনীতি করে মূল অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ার রাজনীতি বাংলার প্রতিটি বিরোধী দলের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও অন্যায়েই আইনের পথেই সমাধানের পথে গিয়েছে। কসবার আইন কলেজের (law college) গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধেও সমান আইনি পথে রাজ্যের প্রশাসন। সেই পরিস্থিতিতে তার রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট করল শাসকদল।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়ে দিলেন, অনেক আগের সরানো হয়েছিল মূল অভিযুক্তকে। এই কুৎসিত ঘটনার নিন্দা করে তৃণাঙ্কুর বলেন, গোটা ঘটনায় নির্যাতিতার পাশে থাকা ও অভিযুক্তদের শাস্তিই একমাত্র দাবি হওয়া উচিত। কিন্তু এই নিয়ে দল, মুখ্যমন্ত্রী ও টিএমসিপিকে কালিমালিপ্ত করতে ব্যস্ত অনেকে। তথ্য পেশ করে তিনি এর জবাবও দেন। বলেন, ওই কলেজে কয়েক বছর ধরে টিএমসিপি-র কোনও ইউনিট নেই।
সেই সঙ্গে তৃণাঙ্কুর ব্যাখ্যা করেন, ২০১৯ সালে ছাত্রাবস্থায় ওই ছেলেটি জেলা কমিটির সামান্য পদে ছিল। ২০২২ সালে তৈরি জেলা কমিটিতে তার নাম ছিল না। ২০২৩ সালে যে জেলা কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতেও সে ছিল না। ছেলেটি তৃণমূল করে, না সিপিএম করে, না বিজেপি করে, সেটা প্রশ্ন নয়, সে একজন ধর্ষক— এভাবেই তার বিচার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–