বাংলাতেই একমাত্র নারী নির্যাতনের অভিযুক্তরা ধরা পড়ে এবং শাস্তি পায়। তা সত্বেও কসবার আইন কলেজের ঘটনায় রাজনীতির ফায়দা তুলতে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। জঘন্য ধর্ষণকারীর ছবি তুলে ধরে তৃণমূলকে জড়ানোর নোংরা চেষ্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। পাল্টা নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজের (Padmasree Kartik Maharaj) রাজনীতির যোগের ছবি তুলে ধরে বিজেপির মুখোশ খুলে দিল তৃণমূল।
কসবা আইন কলেজের ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূলের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই অতীতকে হাতিয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা করেছেন। সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, এরকম ঘটনা সিপিএম জমানায় বেশি হয়েছে। বিজেপির রাজ্যে হয় বলে ডিফেন্ড করছি না। আমরা চাই না একটা ঘটনাও ঘটুক। আমরা বলছি পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত।
ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই বাংলার প্রশাসন গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সহকারি জেব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে। এর পরেও এই ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলা নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল। তুলে ধরা হয়েছে মুর্শিদাবাদে বলপূর্বক যৌন নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাতে অভিযুক্ত কার্তিক মহারাজের ছবি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে এক মঞ্চে অভিযুক্ত পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজ। আরও একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত কার্তিক মহারাজ। সেখানেই উপস্থিত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ধর্ষনে অভিযুক্তদের রক্ষা করে বিজেপি। এমনকি তারা সেখানেই থেমে থাকে না, তাদের হাতে পদ্ম (Padmasree) পুরস্কার তুলে দেয়। কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) বিভিন্ন সময় কাটিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। কিন্তু তার বাস্তব পরিচয় কি? তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–