Thursday, December 25, 2025

পর্যটনে বাংলার বিপ্লব! মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই বিশ্ব মানচিত্রে উজ্জ্বল পশ্চিমবঙ্গ

Date:

Share post:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক উদ্যোগে অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে বাংলার পর্যটন ক্ষেত্রে। বৈচিত্র্যে ভরা বাংলার পাহাড়, সমুদ্র, বনাঞ্চল থেকে শুরু করে উৎসব— সবই এখন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ২০২৩-২৪ সালে বাংলায় বিদেশি পর্যটকের আগমন যেমন রেকর্ড ছুঁয়েছে, তেমনই রাজ্যের অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে স্পষ্টভাবে।

পর্যটন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে বাংলায় বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষে, যা ভারতের মোট বিদেশি পর্যটকের প্রায় ১৪.৮ শতাংশ। গত অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে সেই সংখ্যা ছিল ২৭.১ লক্ষ এবং ২০২১-২২ সালে মাত্র ১০.৪ লক্ষ। এই প্রবণতা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে, পর্যটন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের এগিয়ে যাওয়ার গতি কতটা দ্রুত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পিছনে অন্যতম কারণ হল দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। পুজোর সময়, বিশেষ করে মহালয়া থেকে দীপাবলি পর্যন্ত সময়কালে, বাংলায় ভিড় জমিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি বিদেশি পর্যটক। শুধুমাত্র পুজোর পাঁচ দিনে কলকাতাতেই দেখা গেছে প্রায় ২০ হাজার আন্তর্জাতিক পর্যটক।

শুধু উৎসব পর্যটন নয়, দার্জিলিং, কার্শিয়াং-এর মত পাহাড়ি শহর, পুরুলিয়ার ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র এবং দিঘার ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নবনির্মিত জগন্নাথধাম এই বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ইকো-ট্যুরিজমে আগ্রহ এতটাই বেড়েছে যে পুরুলিয়ায় ইতিমধ্যেই ৮৭ শতাংশ বুকিং পূর্ণ।

২০২৩ সালে মোট ১৪.৫ কোটি পর্যটক বাংলায় এসেছিলেন। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৮.৪ কোটি। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৮.৫ কোটিতে, জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। দেশীয় পর্যটকদের সঙ্গেও যদি বিদেশিদের সংখ্যা যোগ করা হয়, তাহলে বাংলার পর্যটনে আগমনের পরিসংখ্যান ছুঁয়েছে প্রায় ২০ কোটির গণ্ডি। পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন, নতুন পর্যটন হাব তৈরি, আন্তর্জাতিক গাইড সংখ্যা বৃদ্ধি— সব মিলিয়ে বাংলা এখন দেশের মধ্যে সেরা তিন পর্যটন রাজ্যের তালিকায় উঠে এসেছে। এছাড়া, বাংলায় বর্তমানে রয়েছে দেশের মধ্যে সর্বাধিক ১,০২২ জন স্বীকৃত পর্যটন গাইড। ইউরোপ, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে ২৭ লক্ষের বেশি পর্যটক, যা অতীতের যেকোনও সময়ের থেকে অনেকগুণ বেশি। রাজ্য সরকারের দাবি, এই অভাবনীয় সাফল্যের মূল কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা ও সাংস্কৃতিক ব্র্যান্ডিং। পর্যটনে বাংলার এই নবজাগরণ ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তর পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন – সৌরভকে কোচ হিসাবে দেখতে চান ক্রীড়ামন্ত্রী, জমকালো উদ্বোধন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইয়ের

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

সময়ের দেরিতেই বাঁধা প্রেমের গল্প-২৫ দিনের মাইলস্টোন ছুঁয়ে হলে ‘দেরি হয়ে গেছে’

সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নস্টালজিয়া, আবেগ আর রহস্যের মিশেলে দর্শকদের মন জয় করে প্রেক্ষাগৃহে টানা ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে সফলভাবে...

নতুন তিন বিমান সংস্থা: ইন্ডিগোর একচেটিয়া দখল ভাঙছে দেশের আকাশে 

দেশের আকাশপথে একচেটিয়া দখল ভাঙতে যাচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও যাত্রী অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি সংস্থাকে...

ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যতটা শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের...

শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুগলিতে ওয়্যারহাউস! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে...