সংস্কৃতির ধ্বজাধারী বামেদের চরিত্রের এক একটি দিক ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে এক একটি ঘটনায়। রাজনীতির নামে বামেদের যুব সমাজ আদতে কোন অন্ধকারে ডুবে রয়েছে তা বাম শাসিত কেরালায় পার্টি অফিসে (party office) ধর্ষণের ঘটনাতেই প্রমাণিত। অন্যায় শাস্তি দেওয়ার বদলে কেরালার (Kerala) বাম সরকার সেই ধর্ষককে এক বছর ধরে গ্রেফতারই করেনি। দলীয় কর্মীকেই ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্র নেতাকে (SFI leader) এক বছর পরে গ্রেফতার করল কেরালা পুলিশ।

কেরালার পালাক্কাড়ে একটি নবজাতককে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ১৬ মার্চ ২০১৯। সেই তদন্তে জানা যায় স্থানীয় এসএফআই-এর এক নেত্রী সেই নবজাতককে (new born) ফেলে রেখে যান জন্মের একদিন পরেই। শিশুকে ফেলে দেওয়ার অপরাধে তদন্ত শুরু হয় ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে। তখনই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। সম্প্রতি ওই নেত্রী পালাক্কাড় থানায় অভিযোগ জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে এসএফআই-এরই (SFI) এক সহকর্মী তাকে সিপিআইএম পার্টি অফিসে (CPIM party office) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পি প্রকাশন নামে ওই এসএফআই নেতাকে গ্রেফতার করে।

নির্যাতিতা বাম নেত্রীর অভিযোগ, ২০১৮ সালের জুন মাসে কলেজ ম্যাগাজিনের কাজ করার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো তরল খাইয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে। এরপর তিনি সন্তানসম্ভবা হলে অভিযুক্ত প্রকাশন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেনি ওই বাম নেতা (SFI leader)। তার সন্তানের জন্ম হলে নির্যাতিতা তাকে ফেলে দেয়। তখনই পুলিশি তদন্তে প্রকাশ্যে আসে সংস্কৃতির ধ্বজাধারী বামেদের কুকীর্তি।

আরও পড়ুন: দলের নেত্রীকে চাকরির টোপ! গ্রেফতার বিজেপি নেতা

ইতিমধ্যেই কেরালা সিপিআইএম (CPIM) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জর্জরিত। খোদ দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও দলীয় ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দলীয় অনুশাসনের বাণী বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ানো সিপিআইএম-এর পার্টি অফিসের ভিতরে ধর্ষিত হচ্ছেন দলেরই কর্মী। টের পাচ্ছেন না, নাকি জেনেও মুখে কুলুপ আঁটছেন নেতারা। কোন চাপে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারছেন না পিনারাই বিজয়নের কেরালায়, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
–

–

–

–

–

–

–

–
–