শুক্রবার রথের (Rathayatra) দিনের বিশৃঙ্খলার জের কাটতে না কাটতে, ঠিক তার দুদিনের মাথায় রবিবার ফের পুরীতে (Puri) চরম ব্যবস্থা। এবার জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরের সামনে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ৫০ জন আহত। রবিবার ভোরের এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুরীর প্রশাসনের ভূমিকা। বিজেপি সরকার ভিড়ের অজুহাত দিয়ে দায় এড়াতে চাইলেও প্রশ্ন উঠছে, শ্রীক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগমের কথা কারো অজানা নয়। তাহলে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

জানা গেছে গুন্ডিচা মন্দিরের (Gundicha Temple) কাছে শারধাবলিতে রবিবার ভোরে জগন্নাথ দর্শনের জন্য বহু ভক্ত সমাগম হয়। রীতি অনুযায়ী, আজই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ থেকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেইমতো দেবতা দর্শনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতে মন্দিরের কাছে রীতি পালনের সামগ্রী ভর্তি গাড়ি এসে পৌছলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রাখা ব্যারিকেড ভেঙে যায়।পুলিশ জানিয়েছে, ভোর চারটে ২০ নাগাদ ওই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।মৃত তিনজনের নাম বাসন্তী সাহু, প্রমকান্ত মোহান্তি এবং প্রভাতী দাস। সকলেই ওড়িশার খুরদা জেলার বাসিন্দা। অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না বলে অভিযোগ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন (Prithvi Raj Harichandan) জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনার কারণ জানতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের গাফিলতিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, তাঁদের কড়া শাস্তি পেতে হবে।”

শুক্রবার দিন রথযাত্রায় বলরামের রথের রশি ধরতে গিয়েও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেদিনও বেশ কয়েকজন আহত হন। এমনকী সময়মতো রথ পৌঁছতে না পারায় যাত্রা স্থগিতও করে দিতে হয়।দুদিন যেতে না যেতে ফের একই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–

–