Tuesday, December 2, 2025

বামপন্থী আইনজীবী-নেতাদের বিতর্কিত ছবি বিচারপতিদের হাতে দিয়ে দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন কল্যাণ

Date:

Share post:

আদালত অবমাননা মামলায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের সামনে সিপিএম ও বিরোধীদের কিছু আইনজীবী ও নেতার দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) তরফের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। এদিন কুণালের হলফনামার ব্যাখ্যা করেন তিনি।

বিচারপতিদের হাতে এখন সব ছবি আছে। যাঁর বা যাঁদের হয়ে চাকরি চাইছিলেন CPIM নেতারা, এখন তাঁদের চাকরির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের নামেই মামলা করছেন। সিপিএমের নোংরা দ্বিচারিতা কুণালের হলফনামায় সবিস্তারে ছবি-সহ রয়েছে। যাঁকে পাশে নিয়ে ছবি, আজ সেই নাকি ওদের এক নম্বর অভিযুক্ত। এসব মুখোশ এদিন আদালতে খুলে দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

SLST শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের আদালত চত্বরে এক বিতর্কিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এই আদালত অবমাননার মামলা। প্রধান বিচারপতি এই মামলার জন্য তিন বিচারপতির একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে একদম শেষে কুণাল ঘোষের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বিক্ষোভ চলাকালীন চত্বরেই উপস্থিত ছিলেন না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে রাম-বাম মৃত এই ষড়যন্ত্র করে। ঘটনার দিনে কুণাল বিতর্কিত ঘটনাস্থলে ছিলেন না- তার প্রমাণ এদিন আদালতে পেশ করা হয়। বিকাশ ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা যে কর্মপ্রার্থীদের আন্দোলনে মঞ্চে গিয়েছেন, তাঁদের হয়ে মামলা লড়েছেন, তাঁরা চাকরি পাওয়ার পরে তাঁরাই সেই চাকরির বিরোধিতা করে মামলা করেছেন। এই দ্বিচারিতা নীতিগতগতভাবে ঠিক নয়। কল্যাণ আদালত জানান, কর্মপ্রার্থীদের এই ক্ষোভই সাংবাদিক বৈঠকে বারবার তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ।

কল্যাণের কথায়, শুধু পেশাদার আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ আইনজীবীর তফাৎ আছে। যাঁরা মঞ্চে যান, একের পর এক টিভি চ্যানেলে গিয়ে রাজনৈতিক বিবৃতি দেন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকার ও দলের সমালোচনা করেন। তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে এই সবের জবাব দেওয়ার অধিকার আছে কুণাল ঘোষের আছে।

কুণালের আইনজীবী হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জানান, বিচারব্যবস্থা, আদালত, বিচারপতিদের পূর্ণ সম্মান করেন। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ারে বসে রাজনৈতিক সংলাপ, চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যাওয়ার ঘটনায় সামগ্রিকভাবে বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তিতে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে।

এর পরেই কল্যাণ জানান, এটা আদালতের ‘সুয়ো মোটো’ মামলা হতে পারে না। কারণ কেস রেকর্ডে একপক্ষের পিটিশনের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সেই পিটিশন এবং আইনি পদ্ধতি কেন যথাযথ হয়নি, ব্যাখ্যা করেন আইনজীবী।

এই আদালত অবমাননার মামলার দ্বিতীয় দিনেও কুণালের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল শেষ হয়নি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কল্যাণের সঙ্গে এদিন কুণালের তরফের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অয়ন চক্রবর্তী, রাহুল মিশ্র। এই মামলাতেই কোর্টে ছিলেন আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যও।

spot_img

Related articles

চিত্রসাংবাদিকদের নিয়ে জয়ার মন্তব্য অসংবেদনশীল, প্রতিবাদের সরব ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন

সাংবাদিকদের সঙ্গে জয়া বচ্চনের (Jaya Bachchan) সম্পর্ক কেমন সে কথা গোটা ভারতবর্ষ জানে। কিন্তু মিডিয়ারই এক অনুষ্ঠানে যেভাবে...

বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ গাইলেন ইমন, প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর

২০২৬ সালেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। তোড়জোড় প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে রাজ্যে চলছে এসআইআর। এর মধ্যে ১৫ বছরের...

১৪ বছরে ২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান, বাংলা দেশের মডেল: ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী বছর মে মাস ১৫ বছর পূর্ণ করবে বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৪ বছরেক উন্নয়নের খতিয়ান...

SIR-আলোচনার দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ, চাপের মুখে সায় বিজেপির!

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের(Winter Session) প্রথম দিন থেকেই উত্তাল দুই কক্ষ। বিরোধীদের প্রতিবাদ, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভা থেকে ওয়াক...