হাওড়ার জগাছা হাটপুকুর এলাকায় তিন জনের রহস্য মৃত্যুর (Mysterious death) ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে একটি ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে একই পরিবারের তিন সদস্য—স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের একমাত্র ছেলের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতেরা হলেন বলরাম খাঁ (৬৪), তাঁর স্ত্রী শেলি খাঁ (৫৪) এবং তাঁদের সন্তান সম্ব্রিত খাঁ (৩২)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক সংকটের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তবে মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে শেলি খাঁর বোন স্বাতী মিত্র তাঁদের ফ্ল্যাটে আসেন। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের জানান ও পুলিশে খবর দেন। জগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ভিতরে গিয়ে দুটি ঘর থেকে তিনটি নিথর দেহ (Mysterious death) উদ্ধার করেন তাঁরা —একটিতে বলরাম ও শেলি খাঁ এক ঘরে, আর পাশের ঘরের বিছানায় সম্ব্রিতের নিথর দেহ। তিনজনের মুখের গ্যাঁজা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করেছে পরিবার।

স্বাতী মিত্র জানান, “প্রায় প্রতিদিনই দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হত। গতকাল রাতে ফোন না পেয়ে আজ সকালেই চলে এসেছিলাম। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখতে হবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।” তিনি আরও বলেন, দিদির সংসারে কোনও অশান্তি বা পারিবারিক সমস্যা তাঁর জানা ছিল না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরাম খাঁ ছিলেন একজন জীবনবীমা এজেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী পোস্ট অফিসের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের ছেলে সম্ব্রিত অনলাইনে ব্যবসা করতেন। প্রতিবেশীদের মতে, স্বামী-স্ত্রী সবার সঙ্গে মিশলেও তাঁদের ছেলে বেশি মিশুকে ছিলেন না। ঘটনার দিন সকালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক কর্মী ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। লোন সংক্রান্ত একটি বিষয়ে তিনি এসেছিলেন, যা থেকে পুলিশের অনুমান, টাকার ঋণ ও আর্থিক চাপ থেকেই এমন পরিণতি। কত টাকার ঋণ ছিল, কোথায় কোথায় ঋণ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” আরও পড়ুন : যোগী রাজ্যে ফের নারী নির্যাতন, গ্রেফতার ৭২ বছরের বৃদ্ধ

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–