ধর্ষণে অভিযুক্ত কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) এবার থানার হাজিরা এড়িয়ে ছুটলেন হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের এই সাধুর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন এক মহিলা। সেইমতো মঙ্গলবার সকাল দশটায় নবগ্রাম থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ পুলিশের কাছে না গিয়ে আদালতে ছুটলেন সাধু বেশে ‘বিজেপির প্রচারক’ । কেন ১৩ বছর আগের পুরনো ঘটনাকে টেনে আনা হচ্ছে এ প্রশ্ন তুলে, সাধু সন্ন্যাসীদের উপর আক্রমণের অভিযোগে এফআইআর (FIR) বাতিলের জন্য তিনি আবেদন করেছেন বলে খবর। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী জানান, ২০১৩ সালে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের এক প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক রাতে নাকি আচমকাই মহারাজ এসে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলে শারীরিক অত্যাচার। বৃহস্পতিবার রাতে নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। তার ভিত্তিতে আজ থানায় হাজিরার কথা ছিল কার্তিক মহারাজের। কিন্তু সকাল দশটা বাজতেই আদালতের দ্বারস্থ অভিযুক্ত ‘কীর্তিমান’ সাধু। নিজের সাফাই গাইতে গিয়ে পদ্মশ্রী প্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। কার্তিক মহারাজের অভিযোগ, এফআইআর খারিজের আবেদন জানাতে গিয়ে বলেন, ”ভারত সেবাশ্রম সংঘের একজন মানুষ ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন। একজন মহিলা থানায় গিয়ে ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশ নোটিস দিয়ে আজ আমাকে যেতে বলেছে। এটা সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ।” অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ১৩ বছর আগে ধর্ষণ করলে সেটা কি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না? আইন আইনের পথেই চলবে। পাশাপাশি ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতার ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ..’ অংশটির উল্লেখ করে কার্তিক মহারাজকে কটাক্ষও করেন অরূপ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Joy Sengupta) মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বুধবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী জানান, ২০১৩ সালে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের এক প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক রাতে নাকি আচমকাই মহারাজ এসে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলে শারীরিক অত্যাচার। বৃহস্পতিবার রাতে নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। তার ভিত্তিতে আজ থানায় হাজিরার কথা ছিল কার্তিক মহারাজের। কিন্তু সকাল দশটা বাজতেই আদালতের দ্বারস্থ অভিযুক্ত ‘কীর্তিমান’ সাধু। নিজের সাফাই গাইতে গিয়ে পদ্মশ্রী প্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। কার্তিক মহারাজের অভিযোগ, এফআইআর খারিজের আবেদন জানাতে গিয়ে বলেন, ”ভারত সেবাশ্রম সংঘের একজন মানুষ ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন। একজন মহিলা থানায় গিয়ে ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশ নোটিস দিয়ে আজ আমাকে যেতে বলেছে। এটা সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ।” অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ১৩ বছর আগে ধর্ষণ করলে সেটা কি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না? আইন আইনের পথেই চলবে। পাশাপাশি ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতার ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ..’ অংশটির উল্লেখ করে কার্তিক মহারাজকে কটাক্ষও করেন অরূপ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Joy Sengupta) মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বুধবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।