শিক্ষা দফতরের নির্দেশে সোমবার কসবা ল’ কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই কড়া অবস্থান নিয়ে আপাতত কিছুদিন কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজের অস্থায়ী কর্মী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে অস্থায়ী পদে পুনর্নবীকরণ করা হয়। ফের পুনর্নবীকরণের চিঠি এসেছিল। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরিচালন কমিটির সভাপতি যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোজিতকে বরখাস্তই করেন। মনোজিতের দুই সঙ্গী প্রমিত মুখোপাধ্যায় (প্রথম বর্ষ) ও জায়েব আহমেদকে (দ্বিতীয় বর্ষ) কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী দিনে কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কলেজের নিরাপত্তাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।

সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ নিরপেক্ষ পদক্ষেপ করছে। ধর্ষণের অভিযোগের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকেও। যারা অভিযুক্ত, সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ শাস্তির সুপারিশ করা হবে। নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবার ফের কলকাতা পুলিশের উপরেই আস্থা রেখেছে। তাঁরা বলেছেন, পুলিশই অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি দেবে। পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে তদন্ত করছে। তদন্তের শীর্ষে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। পুলিশের তরফে বক্তব্য, ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এফআইআরে নাম থাকা তিন অভিযুক্তকে। প্রমাণের ভিত্তিতেই আরও এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন – কসবা ল কলেজে উত্তেজনা- হাতাহাতি! প্রতিবাদ ঘিরে সংঘর্ষের আবহে আড়ালে মূল ইস্যু

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_