কসবার ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রথম থেকে তৎপর কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে। ঘটনার তদন্ত গঠিত হয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে অনেক তথ্য এসেছে। বিষয়টি সেনসেটিভ। তদন্তের স্বার্থে বিশেষ কিছু জানানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার, কলকাতা পুলিশের রোড সেফটি উইকের সূচনা করে এই কথা জানালেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা (Manoj Verma)।

এদিন থেকে শুরু হল। ট্র্যাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে দুর্ঘটনার নজির প্রায়শই নজরে আসে। পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতার বার্তা নিয়ে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি প্রতিবছরই পালন করে কলকাতা পুলিশ। সময়ের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তৎপরতায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কড়া আইন যেমন জরুরি, তেমন মানুষের মধ্যে সচেতনতাও প্রয়োজন। এই মর্মে এদিন থেকে কলকাতা পুলিশের তরফে নানা অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

সেই অনুষ্ঠানের সূচনার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। সেখানে কসবাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই সেনসেটিভ। তদন্ত চলছে। আমাদের কাছে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য এসেছে। আরও প্রমাণ জোগাড় করেছি। যা যা অ্যাকশন নেওয়ার দরকার সেটা নেওয়া হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।“

একই সঙ্গে মনোজ ভর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘটনায় আমাদের কাছে অনেক রকম তথ্য এসেছে। কিন্তু পুলিশের যা পদক্ষেপ নেওয়ার তাঁরা সেটা নেবে।“

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্রসঙ্গে কলকাতারা সিপি জানান, “সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ কসবা ল কলেজের নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশের চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্টের গাইডলাইন রয়েছে যাতে নির্যাতিতার পরিচয় কোনও ভাবে প্রকাশ্যে না আসে। সেটা মেনে চলতে হবে।“
আরও খবর: হাজিরা এড়িয়ে হাইকোর্টে কার্তিক মহারাজ, FIR বাতিলের আবেদন
–

–

–

–

–

–

–

–
–