চিৎপুরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ (rarest of the rare) আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। এই বিচারকই আর জি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন, যদিও সেই ঘটনাকে তিনি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ (rarest of the rare) বলে চিহ্নিত করেননি। প্রসঙ্গত,২০১৫ সালের প্রাণগোবিন্দ দাস এবং তাঁর স্ত্রী রেণুকা দাস—উভয়ের বয়স ছিল সত্তরের কোঠায়। তাঁদের একমাত্র কন্যা আমেরিকায় থাকেন। চিৎপুরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁদের দেখভালের জন্য পূর্ণিমা নামে এক তরুণী থাকতেন, যার সঙ্গে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিয়েও দেন দম্পতি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় দীর্ঘদিন ধরেই দম্পতির বিশ্বাসভাজন ছিলেন। বাজার যাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজে তিনি সাহায্য করতেন। এমনকি সঞ্জয়ের রোজগারের একমাত্র মাধ্যম, একটি রিকশাও কিনে দিয়েছিলেন প্রাণগোবিন্দরা। বহুবার আর্থিক সহায়তাও করেছেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিশ্বাসকেই ভেঙে চুরমার করে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করেন সঞ্জয়। খুন করার পর দেহগুলি ফ্ল্যাটেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ঘটনার পর দিন সকালে পরিচারিকা পূর্ণিমা যখন ফ্ল্যাটে যান, তখন দম্পতির দেখা না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আরও পড়ুন : ফাঁস ভুয়ো পুলিশ কনস্টেবলের কীর্তি! গাইঘাটায় ধৃত যুবক

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–