প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Excessive Rain in Himachal Pradesh)। একদিকে মেঘভাঙা বৃষ্টি অন্যদিকে হড়পা বান (flash Flood), জোড়া ফলায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে নিখোঁজের তালিকাও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ১১ বার মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে, চারটি হড়পা বান ও একটি বড় ধস নেমেছে। উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিখোঁজ অন্তত ৪০! সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্যোগের জেরে মান্ডি জেলায় বিকল ৯৯৪টি ট্রান্সফর্মার। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ব্লকে ব্লকে।

আইএমডির (IMD) পূর্বাভাস সত্যি করে বৃষ্টির জেরে একের পর এক ধস নামছে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন রাজ্যে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মান্ডি জেলা। সোমবার সন্ধের পর থেকে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২৫৪ মিলিমিটার।কাংড়া, সোলান, সিরমৌর, কারসোগ, থুনাগ, পাণ্ডব শীলা, ধর জরোল ও জোগিন্দরনগরের নেরি-কোটলা এলাকা থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে একাধিক মৃতদেহ।গোহার, কারসোগ ও থুনাগে মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দুটি করে দল। স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (SEOC)-এর তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২৪টি বাড়ি ও ১২টি গবাদি পশুর আস্তানা ধসে গিয়েছে। সারা রাজ্যে বন্ধ ৪০৬টি রাস্তা, যার মধ্যে শুধু মান্ডিতেই বন্ধ ২৪৮টি রাস্তা। মান্ডির পাণ্ডোহ জলাধারে জলস্তর পৌঁছে গিয়েছে ২ হাজার ৯২২ ফুটে, যা ২ হাজার ৯৪১ ফুটের বিপদসীমার একেবারে কাছে। এর সঙ্গে আবার দেড় লক্ষ কিউসেক অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়েছে। মঙ্গল ও বুধে অন্তত সাড়ে তিনশো জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–