ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে গোপনে ষড়যন্ত্র! বেস ইয়ার ২০০৩ নয়, চাই ২০২৪! নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (Special Intensive Revision) নিয়ে কেন্দ্র ও কমিশনের বিরুদ্ধে ফের তীব্র সুরে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্রকে পেছনে ঠেলে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও হাতিয়ার করছে।

শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় তৃণমূল জানায়, “বিহার সহ একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগে ভোটাধিকার বঞ্চনার আশঙ্কা প্রকট।”

তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য করে বলেন, “এনআরসির মতোই এই ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করছে। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও জানান, এই চক্রান্ত বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ জরুরি।

তৃণমূলের দাবি, ২০০৩ সালের পরিবর্তে ২০২৪ সালকে ‘বেস ইয়ার’ হিসেবে ধরা উচিত। কারণ, গত দুই দশকে জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পুরনো তথ্য ধরে ভোটার তালিকা তৈরি করলে বহু প্রকৃত ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “বিজেপি গণতন্ত্রকে খেলনার মতো ব্যবহার করছে। কিন্তু এই লড়াইয়ে আমরা পিছপা হব না। আমরা সংসদের ভিতরে এবং বাইরে, সর্বত্র এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিরোধী দলগুলি একজোট হয়েছে। গোটা ‘ইন্ডিয়া’ জোট একত্রিতভাবে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া সংক্রান্ত যে কোনও ইস্যু রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি করতে বাধ্য। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে সরাসরি নামার পর, এই লড়াই যে দীর্ঘ হবে তা বলাই যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা স্পষ্ট—“ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার গোপন চক্রান্ত রুখবই, শেষ দেখেই ছাড়ব।”

আরও পড়ুন – মহাকাশ থেকে ক্লাস নিলেন শুভাংশু, ইতিহাস গড়ল ভারত

_

_

_

_

_
_
_
_
_