সরকারি বাসভবনে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩১ মে। তারপরেও ভারতের প্রধান বিচারপতির (Supreme Court Chief Justice) জন্য নির্ধারিত বাংলো দখল করে বসে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Former CJI DY Chandrachud)। এবার সেই সরকারি বাসভবন খালি করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন। ইদানিংকালের মধ্যে এ নজির আর দেখা যায়নি।
২০২২-এর নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর- সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই সূত্রে দিল্লির লুটিয়েনস এলাকার কৃষ্ণ মেনন মার্গের টাইপ এইট শ্রেণির বাংলো থাকার জন্য পেয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী বা নেতারা সাধারণত টাইপ এইট বাংলো পান। ২০২২ সালের সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকারি বাসভবন ধরে রাখতে পারেন। সেই হিসেবে অবসরের পরে ৩১ মে ওই সরকারি বাংলোয় থাকার মেয়াদ প্রাক্তন বিচারপতির শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বেনজির ভাবে সেই বাংলা এখনও দখল করে রেখেছেন তিনি বলে অভিযোগ।
১ জুলাই একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, চন্দ্রচূড়ের এই বাসভবনে থাকার মেয়াদ ৩১ মে শেষ হয়েছে। অতএব অবিলম্বে এই সরকারি ভবনটি দখল মুক্ত করা হোক।
এই প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় (Former CJI DY Chandrachud) জানিয়েছেন, সরকারের তরফে তাঁকে একটি ভাড়াবাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায়, সেই বাড়ি এখন বাসযোগ্য নয়। ফলে তিনি বাংলো ছাড়তে পারছেন না। সংস্কার শেষ হলেই তিনি ঠিকানা বদল করবেন। প্রাক্তন বিচারপতির ২ দত্তক কন্যাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। চন্দ্রচূড় জানান, “আমার দুই মেয়ের বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসা চলছে। তারা নেমালাইন মায়োপ্যাথি নামে একটি বিরল রোগে ভুগছে, এবং নিয়মিত AIIMS-এ চিকিৎসাধীন। তাদের কথা মাথায় রেখেই একটি বিশেষভাবে উপযুক্ত বাড়ির প্রয়োজন।”
এরপরই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কিছুটা কড়া সুরে প্রাক্তন বিচারপতি জানান, “আমি দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতি ছিলাম এবং জানি কবে কী করতে হবে। আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। কিছু দিনের মধ্যেই আমি বাড়িটি ছেড়ে দেব।” তবে, কোনওরকম ‘গ্রেস পিরিয়ড’ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে তারা অবিলম্বে বাড়ি ফেরত চায়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–