বুধবার সকাল থেকে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ধর্মঘটের (Central Trade Union’s strike) ডাক দিয়েছে। যদিও বৃষ্টিভেজা দিনে বনধের কোনও প্রভাব বাংলায় নেই। অন্যান্য চারপাশটা দিনের মতোই কর্মব্যস্ত সকালের ছবিটা ধরা পড়েছে। পরিবহন ব্যবস্থা সচল রয়েছে। বামেদের ধর্মঘটকে পাত্তা না দিয়ে ছাতা মাথায়, রেনকোট পরে মানুষ গন্তব্যের দিকে রওনা দিচ্ছেন। জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির চেষ্টা করা হলেও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন এইভাবে কাজের দিন নষ্ট করে ধর্মঘট পালনের সংস্কৃতি বাংলায় অনেক দিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্য পরিবহন দফতর (Transport Department) অতিরিক্ত বাস- ভেসেল- ট্রাম পরিষেবা চালানোয় শহর কলকাতায় বনধের ছিটেফোঁটা প্রভাবও পড়েনি। অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি সবই অন্যান্য দিনের মতোই রয়েছে। শিয়ালদহ- হাওড়া স্টেশন চত্বরে চেনা ভিড়ের ছবি বলে দিচ্ছে বনধকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন আমজনতা।
দশটি শ্রমিক সংগঠনের তরফে দেশজুড়ে এই ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার মূল দাবি নতুন শ্রম কোড, বাতিল দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি, নূন্যতম ২৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনের মতো বিষয়গুলি। শহরে না পেরে উঠে, জেলায় জেলায় মানুষকে হয়রান করার চেষ্টা করেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। একে মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষজন দুর্যোগ মাথায় নিয়ে বাইরে বেরিয়েছেন। এই অবস্থায় এই ধরনের বনধকে কেউ সমর্থন না করায় স্বাভাবিক ছন্দেই এগিয়ে চলেছে বুধের সকালে কর্মব্যস্ত জীবনের গতি। অফিস টাইমে হুগলি স্টেশন অবরোধ করে হাওড়াগামী ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল (Bandel Howrah Local) আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘটের সমর্থকরা। পতাকা হাতে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ফলে ট্রেন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। এছাড়াও ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর, বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেশ জুট মিলে শ্রমিকরা সকাল থেকে পিকেটিং শুরু করেন। ডোমজুড়ে লরি – বাস আটকানোর চেষ্টা হলেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। সকালের দিকে শিয়ালদহ মেন শাখায় (Sealdah Main Line) সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার ট্রেন চলাচল। যাদবপুর স্টেশনে বনধ সমর্থনকারীরা ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন। বেলঘরিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়ে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–