NRC বিরোধিতায় প্রথম থেকে সবর তৃণমূল সভানেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবারই এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সকলকে চমকে দিয়ে সেই পোস্টে রিপ্লাই দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে কেন NRC লাগু করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার- তার উত্তর না দিয়ে উল্টে রাজ্যকে নিশানা করেছেন দিলীপ।
অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, “৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা বাস করা এক রাজবংশী নাগরিককে ‘বিদেশি’ বলা আমাদের গণতন্ত্রের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া কিছু নয়।” নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনও ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।” মমতা আরও লিখেছেন, “এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া এবং বিজেপির বিভাজনমূলক ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না।”
এই পোস্টে হঠাৎ করেই পোস্ট করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি লেখেন, “এনআরসি একটি আইন। মুখ্যমন্ত্রীর যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড না করে প্রশাসনিক পথে এগোন। প্রথমত, সরাসরি অসম সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অসমে রয়েছেন। তাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত তাদের তথ্যগুলো অসম সরকারকে দেওয়া।” পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ করেন দিলীপ।
কিন্তু NRC করতে হবে কেন! হঠাৎ করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকা নাগরিকদের আবার কেন আবার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে? এই নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই দিলীপের। তৃণমূল সুপ্রিমো প্রথম থেকে CAA-NRC-র বিরোধী। পথে নেমে এর প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকেই দিলীপের এই নিশানায় তাজ্জব রাজনৈতিক মহল। অনেকর মতে, বিজেপিশাসিত অসমের মতো বাংলাতেও কি ডিটেনশন ক্যাম্প করতে চাইছেন দিলীপরা!
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–