নিয়োগ মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকেই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) নতুন পরীক্ষায় অযোগ্যরা বসতে পারবে না বলে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল তা বহাল রাখলেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

গত সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেওয়ার পর তা চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয়। রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষকদের একাংশ মামলা করেছিলেন তাদের আরো একাধিক দাবির বিষয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চ কোন নির্দেশ না দেওয়ায়। যদিও, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করলো। অর্থাৎ অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবেনা। তবে অন্যান্য বিষয়ে আগামী সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবে ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন শুনানি চলাকালে বিচারপতি সৌমেন সেন জানতে চান, অযোগ্য চাকরিহারারা পরীক্ষায় বসলে সমস্যা কোথায়? এর পরিপ্রেক্ষিতে যোগ্যদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ নতুন করে হচ্ছে। সেখানে কেন নতুন শূন্যপদ জোড়া হল? নতুন শূন্যপদে আলাদা করে নিয়োগ করতে হবে কিন্তু, স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের ভ্যাকেন্সির সঙ্গে নতুন ভ্যাকেন্সি জুড়েছে ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এটা সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি আরো বলেন, যাদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছে তাদেরকেই ফের নতুন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে কিভাবে? তবে ২০২৫ সালের জন্য নতুন পরীক্ষা নেওয়া হলে তারা বসতে পারে। তাতে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাধা নেই। তবে, সুপ্রিমকোর্টের নাম নিয়ে অযোগ্যদের এই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যায়না। কোর্টের নির্দেশে এটা করা হচ্ছে বলতে পারে না রাজ্য।

চাকরিহারাদের একাংশের তরফের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র এদিন বলেন, দূর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিমকোর্ট “দাগী” আর “দাগী নয় ” এই দুটো ভাগ করেছে। বাকিরা পরিস্থিতির স্বীকার। একই অপরাধের জন্য দুবার শাস্তির যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়।

অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অয্যোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া স্বাভাবিক ন্যায়ের পরিপন্থী। বিকাশ ভট্টাচার্য অসফল প্রার্থীদের পক্ষে সওয়াল করছেন। অযোগ্যদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা শাস্তি পেয়েছে। পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া মানে দ্বিতীয় বার শাস্তি দেওয়া।

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবেনা। তবে অন্যান্য বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা আগামী সোমবার জানাবে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন – দিল্লির ‘জয় হিন্দ কলোনি’-তে বাঙালিদের হেনস্থা! প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_

_
_
_
_
_