দু’টি ছোট মেয়েকে নিয়ে দিনের পর দিন কর্নাটকের গোকর্ণা পাহাড়ি অঞ্চলের এক দুর্গম গুহায় বসবাস করছিলেন এক রুশ নাগরিক। আধ্যাত্মিক চর্চা ও নিঃসঙ্গতার খোঁজেই তিনি এই বিচ্ছিন্ন বাসস্থান বেছে নিয়েছিলেন বলে দাবি, তবে পুলিশের তৎপরতায় সামনে এলো একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, মহিলার ভিসার মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে, এবং ২০১৮ সাল থেকে তিনি কার্যত অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ জুলাই গোকর্ণা থানার পুলিশ রামতীর্থ পাহাড় এলাকায় টহল দেওয়ার সময় একটি গুহা থেকে আওয়াজ শুনে তারা সেখানে পৌঁছায়। গুহার ভিতরে তারা দেখতে পান ৪০ বছরের নিনা কুটিনা নামের এক রাশিয়ান নারী ও তার দুটি শিশু — যাদের একজনের বয়স ৬ এবং অপরজনের ৪ বছর।

জিজ্ঞাসাবাদে নিনা জানান, তিনি গোয়া থেকে গোকর্ণায় এসেছেন ধ্যান ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য। নিরিবিলি পরিবেশে মনোসংযোগ করার লক্ষ্যেই গুহাবাস শুরু করেন। তবে পুলিশ জানায়, যে অঞ্চলটিতে তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখানে রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি ও বিষধর সাপ সহ নানা বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি। ছোট শিশুদের নিয়ে সেখানে থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।

পরে বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তিনজনকেই উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নামিয়ে আনা হয়। নিনার অনুরোধে তাদের রাখা হয়েছে কুমটা তালুকের ব্যাংকিকোডলা গ্রামের এক মহিলা সন্ন্যাসিনীর আশ্রমে, যা পরিচালনা করেন ৮০ বছরের যোগরত্না সরস্বতী।

তবে এখানেই শেষ নয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শুরুতে নিজের পরিচয় ও নথিপত্র দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নিনা। পরে গুহা তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা। নথি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর বিজনেস ভিসার মেয়াদ ছিল। এরপর ২০১৮ সালে তিনি নেপাল হয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করেন এবং তারপর থেকে কোনও বৈধ অনুমতি ছাড়াই ভারতে অবস্থান করছেন বলে পুলিশের দাবি।

আরও পড়ুন- জর্জ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টেরিয়র ডিজাইন-এর বার্ষিক সমাবর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

_

_

_

_

_
_
_
_
_