নির্লজ্জতার চূড়ান্ত! একজন মুখ্যমন্ত্রী শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে যেভাবে পুলিশি বাধা এবং ধস্তাধস্তির মুখে পড়লেন, ভারতের ইতিহাসে কার্যত তা বিরল। বিজেপি জমানায় রাজ্যের তকমা মুছে ফেলা জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার জম্মু ও কাশ্মীর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ (Omar Abdullah)। যদিও বিজেপির পুলিশের বাধা অতিক্রম করে দেয়াল টপকেই ১৩ জুলাই শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।

১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইতে শহীদ হয়েছিলেন ২১ কাশ্মীরি। সেই দিনকে স্মরণ করে এই দিনটি কাশ্মীরের শহিদ দিবস (Kashmir Martyrs’ Day) হিসাবেই পরিচিত। এবং রাজ্যে এই দিন ছুটিও ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদির নজিরবিহীন শাসনে রাজ্যের তকমা হারানো জম্মু ও কাশ্মীরে সেই শহিদ দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। ১৩ জুলাই, রবিবার দিনভর তাঁর বাড়ির বাইরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করে রাখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

ওমর আবদুল্লার দাবি, ১৩ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধি, বিধায়ক, সাংসদ সকলের বাড়ির বাইরে মোতায়ন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশে, যে কেন্দ্রে সরকারকে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ নির্বাচিত করেইনি। তিনি নওহাট্টা চকে (Nauhatta Chowk) গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা জানালে তাঁর বাড়ির বাইরে বাঙ্কার তৈরি করে মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

তবে ১৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা সরিয়ে নিতেই তিনি বেরিয়ে পড়েন নওহাট্টা চকের উদ্দেশ্যে, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে। বিশ্বের বাজারে নিজেকে কাশ্মীর দরদী প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া নরেন্দ্র মোদি সেখানেও তাঁর জন্য এক নজিরবিহীন নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছিল। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার সেখানে এক নজিরবিহীন কাণ্ড প্রদর্শন করে, যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিশি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তি করতে হয়। শেষে পাঁচিল টপকে নওহাট্টা চকে (Nauhatta Chowk) প্রবেশ করতে হয় ওমর আব্দুল্লাহকে (Omar Abdullah)।

আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামীণ শিল্পকে তুলে আনার বার্তা: BNCCI এজিএম-এ রাজ্যের আহ্বান
মোদি জমানায় চূড়ান্ত অরাজকতার শিকার জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা। বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে তারই ছবি ফুটে ওঠে ১৪ জুলাই। সেই ছবি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে ওমর দাবি করেন, এই শারীরিক নির্যাতন যার শিকার হয়েছি আমি। কিন্তু আমি আরও কঠিন। এবং আমাকে থামানো যায়নি। আমি কোনও বেআইনি বা অবৈধ কাজ করছিলাম না। এবার এই ‘আইনের রক্ষকদের’ ব্যাখ্যা করতে যে তারা কোন আইনে আমাদের ফাতিহা পড়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিল?

This is the physical grappling I was subjected to but I am made of sterner stuff & was not to be stopped. I was doing nothing unlawful or illegal. In fact these “protectors of the law” need to explain under what law they were trying to stop us from offering Fatiha pic.twitter.com/8Fj1BKNixQ
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) July 14, 2025
–

–

–

–

–

–

–