খেলার দুনিয়ায় এ হচ্ছে টা কী। একের পর এক সম্পর্ক হঠাৎই যেন ভাঙতে শুরু করেছে। সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal)। আর তাতেই যেন সকলে হতবাক। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রীড়া দুনিয়াতে শুধুই সম্পর্ক ভাঙনের গল্প। সে ক্রিকেট হোক কি ব্যাডমিন্টন, টেনিস। শেষ দুই বছরের মধ্যে একের পর এক তারকাকে তাদের বিবাহের সম্পর্কের থেকে বেড়িয়ে আসতেই দেখা গিয়েছে।

দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক ভাঙছেন সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal)। পারুপল্লি কাশ্যপের (Parupalli Kashyap) সঙ্গে ২০১৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কথাবার্তার মাধ্যমেই সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের এই দুই তারকা শাটলার।

একইরকম গল্প ভারতের আরও দুই তারকা ক্রিকেটারেরও। চলতি বছরের শুরুতেই নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) ও ধনশ্রীও। সম্পর্কের তিক্ততা থেকে নিজেদর আলাদা করে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। তেমনই শিখর ধওয়ানের (Shikhar Dhawan) ক্ষেত্রেও। তাদের সমস্যার কথা তো একেবারে প্রকাশ্যেই চলে এসেছিল। ২০১২ সালে আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন শিখর ধওয়ান।

কিন্তু এরপরই তাদের সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে লং ডিসট্যান্স হওয়ার ফলেই সেটা হচ্ছিল। এরপরই তারা নিজেদের সম্পর্কের ইতি টানেন।

ক্রিকেটের জগতে আরও এক সম্পর্ক ভাঙার গল্প রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) এবং নাতাশা স্ট্যাঙ্কোভিচের মধ্যে। এক পুত্র সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু এরপরই সমস্যা দেখা দেয় তাদের। শেষ পরিণতি সম্পর্কের ভাঙন।

টেনিস জগতেও এই একই ছায়া। ২০১০ সালে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের (Shoaib Malik) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েছিলেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের শেষের দিকেই তাদের মধ্যে শুরু হয়েছিল সমস্যা। সেই তিক্ততা এতটাই বাড়ে যে শেষপর্যন্ত ২০২৪ সালে বিচ্ছেদের পথেই হেঁটেছিলেন সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকও।

শেষ দুই বছরে ভারতের ক্রীড়া দুনিয়ায় যেন শুধুই বিচ্ছেদের ঘনঘটা।

–

–

–

–
–
–
–
–