বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পে মাইন ডেভেলপমেন্ট অপারেটর (এমডিও) নিয়োগের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। রাজ্য সরকারের অধীন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ছয়টি সংস্থা প্রাথমিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে একটি পোল্যান্ডের জেএসডব্লিউ এস.এ.—সেই দেশের বৃহত্তম অধোগত কয়লা খনি সংস্থা।

প্রকল্পের আনুমানিক বিনিয়োগ প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই খনি বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। তবে দেউচা-পাঁচামির জটিল ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে প্রকল্প শুরুর আগে কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্স একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই সুপারিশ অনুসারেই অধোগত খননের পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিগমের মাইনিং বিভাগের ডিরেক্টর চঞ্চল গোস্বামী।

পিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, একবার চূড়ান্ত এমডিও নির্বাচন হয়ে গেলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো নির্মাণ ও পরিবেশ সংক্রান্ত অনুমোদনের দিকে নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রস্তাব জমা দেওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে—জেএমএস মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড, গেনওয়েল কমোস্যেলস প্রাইভেট লিমিটেড, মিনোপ ইনোভেটিভ টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড, মিনসল লিমিটেড, মহেশ্বরী মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং পোল্যান্ডের জেএসডব্লিউ এস.এ.। এই প্রকল্পকে ঘিরে রাজ্যে নতুন করে শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও জ্বালানি নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আরও দেখুন – মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্ট্রালাইজড অনলাইন পোর্টালে আবেদনের সময়সীমা বাড়ল ১০ দিন

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_