রোজভ্যালির(Rose valley) আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে গঠিত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বাধীন কমিটির কাজকর্ম নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শেঠ কমিটির কার্যকলাপ নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হতে পারে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৫ সাল থেকে এতদিনে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা অফিস খরচে ব্যয় হয়েছে, যা অবিশ্বাস্য।
কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টে দেখা যায়, গত ১০ বছরে কোনো অডিট হয়নি। বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘একটি হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি কিভাবে অডিট ছাড়া রিপোর্ট জমা দেয়?’ এছাড়া, কমিটির চেয়ারম্যানের বেতন কোথা থেকে এসেছে জানতে চাইলে আইনজীবী জানান, একটি ‘চকলেট গ্রুপ’ ওই টাকা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রোজভ্যালির হোটেলগুলো বিক্রি না করে আমানত কারীদের টাকা না মিটিয়ে ওই কমিটির চকলেট গ্রুপকে দিয়ে তাদের ব্যবসা করানো নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ‘চকলেট গ্রুপ’ টাকা দিয়েছে শুনে কার্যত হতবাক ও বিরক্ত বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, হাইকোর্টের কোন নির্দেশে ওই কমিটি চকোলেট গ্রুপ নামে একটা সংস্থাকে এর ভিতরে ঢুকিয়েছে? যার কোনো অস্তিত্বই নেই। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘মানুষের জানার অধিকার আছে, তাই মামলার সব পক্ষকে রিপোর্টের কপি দিতে হবে।’ রোজভ্যালিকে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতকে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তার কপি মামলার সব পক্ষকে দিতে হবে।
আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন এই বিষয়ে ইডির জবাব শুনবে আদালত। কারণ, বিচারপতি শেঠ কমিটির মধ্যে ইডির এক সদস্য রয়েছেন। এদিন চকলেট গ্রুপের তরফে আইনজীবী হাজির হলেও তাঁকে আগামীদিনে নিজের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন এমপিএস(MPS) বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার ফান্ড নিয়ে বিচারপতি তালুকদার কমিটির কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। এই ব্যাপারে সিবিআইকে এমপিএস সম্পর্কে তাদের কাছে যত নথি আছে, সব বুধবারের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন এমপিএস নিয়েও শুনানি করবে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–