কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সম্প্রদায়ের, সেই বাঙালি মতুয়াদের হেনস্থা মহারাষ্ট্রে!

Date:

Share post:

বিদ্বেষের রাজনীতিই অস্ত্র কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। আর এবার সেই অস্ত্রের কোপ এসে পড়ল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সম্প্রদায়ের মানুষের উপর। যে মতুয়া (Matua) সম্প্রদায়ের পিঠস্থানে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), সেই মতুয়াদের বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হল। যদিও কোনও বাঙালির হাত ছাড়বে না বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পুনেতে দুর্দশাগ্রস্থ পরিবারের পাশে বাংলার শাসক দল।

ঘৃণার রাজনীতিকে একবার আগুন দিলে তা তুষের মত সবকিছু ছারখার করে দিতে পারে। তারই প্রমাণ বিজেপির বাঙালি (Bengali) বিদ্বেষ। একটি সম্প্রদায়ের উপর আক্রোশ মেটাতে গিয়ে প্রতিটি বিজেপি রাজ্যে একের পর এক বাংলার সব ধরনের পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labour) উপর নজিরবিহীন নির্যাতনের উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে মোদি জমানায়। সেই বিদ্বেষের শিকার উত্তর চব্বিশ পরগনার মতুয়া (Matua) সম্প্রদায়ের মানুষজন।

তৃণমূল সাংসদ তথা বাংলার মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) মহারাষ্ট্রে হেনস্থার শিকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের কথা উল্লেখ করে জানান, উত্তর চব্বিশ পরগনার আরুশ অধিকারী-সহ পাঁচজন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পুলিশের হেনস্থার শিকার। তাদের মধ্যে রয়েছে নাবালকও। শুধুমাত্র বাঙালি হওয়ায় তাঁদের রোহিঙ্গা বলে দাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

উত্তর চব্বিশ পরগনার এই মতুয়া পরিযায়ী পরিবারগুলির (migrant labour) দাবি, দেশের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কিছুই তাঁদের পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করছে না মহারাষ্ট্র পুলিশ। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) যে বিশেষ মতুয়া পরিচয় পত্র দিয়ে থাকেন সেই পরিচয় পত্রও গ্রহণ করছে না বিজেপির পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভাঙা শুরু সত্যজিৎ-উপেন্দ্রকিশোরের পৈতৃক বাড়ি! সরব মমতা

শান্তনু ঠাকুর নিজে যে সম্প্রদায়ের মানুষ, সেই সম্প্রদায়ের মানুষদের হেনস্থার পরেও তাঁকে মুখ খুলতে বা তাঁদের পাশে দেখা যায়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পরিচয়পত্র শান্তনু ঠাকুরেরই দেওয়া বলে তাঁরা জানান। যদিও সাংসদ সামিরুল জানান, পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে হেনস্থার শিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

spot_img

Related articles

চন্দননগর নয়! কোথা থেকে সূচনা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর? জানুন ইতিহাস 

জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরের ছবি—চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা আর অসংখ্য দর্শনার্থীর...

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সহজ জয়, কোন অঙ্কে বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত?

ভাইফোঁটার দিনেই মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে(ICC Women World cup) সেমিফাইনালে স্থান নিশ্চিত করল ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫৩...

চাপ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়: বিস্ফোরক নারদ মামলার প্রথম তদন্তকারী CBI আধিকারিক

বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নারদ (Narada Case) মামলার প্রথম তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক রঞ্জিত কুমারের (Ranjit Kumar)। একটি অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি...

সিরিজ হারের দিনেই বিরাট প্রশ্ন কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়েও

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়একদিনের ম্যাচে হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে(India Team)। সেই সঙ্গে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে...