আমিষ খাওয়া বন্ধ করতে নানা অজুহাত তৈরি করার পরে এবার সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ফতোয়া জারি করছে কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার। কারণ সিগারেটের সঙ্গে এক সারিতে বসানো হয়েছে সিঙাড়া, জিলিপির (Singara-Jalebi) মতো খাবারকে। ফলে এগুলিও না কি সমান ক্ষতিকর। আর সেই কথা মনে করাতে লেখা থাকবে, বিধি বদ্ধ সর্তকীকরণ! কিন্তু কেন্দ্রের এই ফতোয়া মানবে না রাজ্য। তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল (Kunal Ghosh) ঘোষ বলেন, সিঙারা-জিলিপিতে কুনজর পড়ছে কেন্দ্রের।

ভারতীয়দের মধ্যে স্থূলত্বের সমস্যা অত্যন্ত হারে বাড়ছে। পাঁচজনের মধ্যে গড়ে একজন ভারতীয় এই সমস্যার শিকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৪৪.৯ কোটি মানুষ বেশি ওজনের (Obesity) সমস্যায় ভুগতে পারেন। আর এর থেকে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগ ও কিডনির রোগ। সেই কারণেই এই ফতোয়া বলে দাবি কেন্দ্রের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এইধরনের খাবারে কতটা ফ্যাট, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট লিখে দিতে হবে স্পষ্ট করে।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছে। নাগপুরে AIM’S-এ ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা মেনে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেসব দোকানে সিঙাড়া, জিলিপি (Singara-Jalebi), লাড্ডু, বড়া পাও-এর মতো খাবার পাওযা যায়, সেইসব কটা দোকানে সেই সব দোকানে এই চার্ট টাঙানোর জায়গা কোথায়! আর কেউ বা তা হিসেব করে লিখবেন!

তাহলে কী ছোট দোকান তুলে দেওয়ার এই এক কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্র! কারণ, বড় দোকানে এই সুবিধা থাকায়, সেই দোকানগুলি রেখে, ছোট ব্যবসায়ী, যাঁরা রাস্তার মোড়ে সিঙারা-জিলিপি ভাজেন-তাঁদের রুজিটে লাথি মারার চক্রান্ত- অভিযোগ সব মহলে।
এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিঙারা-জিলিপিতে কুনজর পড়ছে কেন্দ্রের। সিঙাড়া, জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফতোয়া মানবে না রাজ্য সরকার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন রাজ্য কে কী খাবেন, স্বাধীনতা তাঁর। খাদ্যের গুণমান ঠিক থাকলে খাদ্যবস্তুর উপর কোনও বিধিনিষেধ বা হস্তক্ষেপ উচিত নয়। বাংলায় এসব হবে না।

সিঙাড়া, জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফতোয়া মানবে না রাজ্য সরকার। @MamataOfficial র রাজ্য মনে করে কে কী খাবেন, স্বাধীনতা তাঁর। খাদ্যের গুণমান ঠিক থাকলে খাদ্যবস্তুর উপর কোনো বিধিনিষেধ বা হস্তক্ষেপ উচিত নয়। বাংলায় এসব হবে না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 15, 2025
–

–

–

–

–

–

–
–