“স্কুলে না গিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করছেন শিক্ষকরা”, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (primary teacher recruitment) সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এভাবেই কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী কড়া ভাষায় বলেন, “এরা তো কর্মরত শিক্ষক, এদের প্রধান কাজ হল পড়ানো। সেটা না করে সবাই আদালতে হাজির। ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর শিক্ষকরা এখানে দাঁড়িয়ে মজা দেখছেন!” তিনি আরও বলেন, “স্কুলে না গিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করছেন শিক্ষকরা (teachers)। কর্তৃপক্ষও জানে না কেন এরা স্কুলে নেই। এমনকি কেউ ক্যাজুয়াল লিভও (CL) নেয়নি। চাইলে আমরা ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারি।” মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ ও ৩১ জুলাই।

এদিন এই মামলায় প্যারা টিচার ও হেটেরোজেনাস গ্রুপের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জেলাভিত্তিক নিয়োগ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের(Aptitude Test) কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্ট স্থগিত ছিল। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের চিঠিও দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, রাজ্যের সব জেলাতেই নিয়োগ হয়েছিল এবং সফল প্রার্থীদের একটি প্যানেল প্রকাশ করে তবেই নিয়োগ হয়। তিনি দাবি করেন, আদালতের রায় পড়ে কোথাও দুর্নীতির কোনও প্রমাণ বা ইঙ্গিত মেলেনি। ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর স্পষ্ট বক্তব্য, “আপনারা বলছেন দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু সেটা কি প্রমাণ করতে পেরেছেন? সিবিআই (CBI) তদন্ত চলছে, মন্ত্রীরা জেলে, অফিসাররা অভিযুক্ত। এই প্রেক্ষাপটে জনগণ নিশ্চিত হবে কীভাবে? দুর্নীতি ঘটেনি তা প্রমাণ করতে আপনাদেরই হবে।”

আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদেরও সরকারি কোটায় অধিকার রয়েছে, রায় হাইকোর্টের

এদিনের শুনানি চলাকালীন একজন কর্মরত শিক্ষক বলেন, “আমরা ৬০০ জন শিক্ষক (teacher), আমরা কেউ প্যারা টিচার(Para Teacher) নই। একজনের বক্তব্যের ভিত্তিতে আমাদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।”

–

–
–

–

–
–
–
–