সিনেমার স্টাইলে বাস্তবে পাটনার হাসপাতালে (Patna Hospital) ঢুকে আইসিইউ-তে শুয়ে থাকা রোগীকে ৫ ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। সূত্রের খবর বিহার থেকে পালিয়ে এসে কলকাতায় লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা নিউটাউনের এক হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে আছে এ খবর পাওয়ার পরই, পুলিশ ও এসটিএফের (STF) যৌথ অভিযানে নিউটাউন (Newtown ) সাপুরজি এলাকার ‘সুখবৃষ্টি’ (Sukhasristi) আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।
নীতীশ (Nitish Kumar) রাজ্যের পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চন্দন মিশ্র (Chandan Mishra) নামক এক অপরাধী। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। বক্সারের কেসরী নামে এক রং ব্যবসায়ীকে খুনের মামলা চলছিল। সেই মামলায় জেলবন্দি ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে তিনি প্যারোলে মুক্তি পান। তারপর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকালে এই বেসরকারি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হঠাৎ করেই সিনেমার কায়দায় ৫ ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। সটান আইসিইউতে ঢুকে ২০৯ নম্বর কেবিনে শুয়ে থাকা কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোড়ে মূল শুটার তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশারা। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালের বেডেই মারা যায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন।ওই কেবিনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দুর্গেশ কুমারের পায়েও গুলি লাগে। এরপরে নির্বিবাদে পালিয়েও যায় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে বিহার পুলিশের অনুমান প্রতিপক্ষ কোনও গ্যাং এই হামলা চালিয়েছে। এভাবে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢুকে এল কিন্তু কোন নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের আটকালো না কেন এই নিয়েও থেকেই যাচ্ছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায় যে বিহারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে বেঙ্গল STF-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহার STF। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (WB Police) পুরোপুরি সহযোগিতায় অবশেষে ধরা গেলে অভিযুক্তদের।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–