বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় শুক্রবার জামিন পেলেন ছয় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে জেল হেফাজতের (judicial custody) নির্দেশ দেওয়া হল তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার (Narkeldanga police station) ওসি ও এসআই-কে। সেই সঙ্গে জেল হেফাজত হল হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথ ও আরেক অভিযুক্ত সুজাতা দে-র।

শুক্রবার বিচারভবনে (City Session Court) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। চার্জশিটে নাম থাকা অভিযুক্তরা এদিন আদালতে হাজিরা দেন। এদিন দশ অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করা হয়। ছয়জনকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন আদালত। বাকি চারজনের জামিন আর্জি খারিজ করা হয়। ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম থাকা বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল-সহ দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষ আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আগামী ১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মামলার কোনও শুনানি হবে না। ৪ জুলাই এই মামলার শুনানিতে বিচারক সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত ভর্ৎসনা করেছিলেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত তালিকায় নাম থাকা ১৮ জনকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আদালতের নির্দেশ মতো এদিন কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি (তৎকালীন ওসি নারকেলডাঙা) শুভজিৎ সেন , তৎকালীন এসআই রত্না সরকার হাজিরা দেন আদালতে। ২০২১ সালে বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় সময় নারকেলডাঙা থানায় (Narkeldanga police station) তৎকালীন ওসি ছিলেন শুভজিৎবাবু। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এসি হন। রত্না সরকারও তৎকালীন এসআই ছিলেন। এদিন অভিযুক্ত তৎকালীন ওসি-র আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে গত চার বছরে কোনও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সামনে আসেনি।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতায় লাগাম! মহারাষ্ট্রে বেছে বেছে জাতি শংসাপত্র

পাল্টা বিচারকের পর্যবেক্ষণ, দেরিতে চার্জশিট দেওয়া কি প্রভাব খাটানোর ফসল নয়। ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে না জানিয়ে ওই পুলিশকর্তা নিহত অভিজিতের মায়ের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করেছিলেন, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারক।

–

–

–

–

–
–
–
–