প্রাক্তন আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাংক সিইও চন্দা কোচরকে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করলো আদালত (বিশেষ ট্রাইবুন্যাল)। আদালত জানিয়েছে, ভিডিয়োকন গ্রুপকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করার বিনিময়ে তাঁর স্বামী দীপক কোচরের মালিকানাধীন সংস্থার মাধ্যমে ৬৪ কোটি টাকার ঘুষ গ্রহণ করেছেন চন্দা।
২০১০ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ভিডিয়োকন গ্রুপকে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। অভিযোগ, ওই ঋণ মঞ্জুরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিয়োকনের একটি সহযোগী সংস্থা সেই টাকা স্থানান্তর করে চন্দার স্বামী দীপক কোচরের নিয়ন্ত্রিত এনইউ পাওয়ার অ্যান্ড রিনিউয়েবলস নামক সংস্থায়। এই আর্থিক লেনদেনকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি ‘ঘুষ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
আদালত জানায়, চন্দা কোচরের ভূমিকা একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ আধিকারিক হিসেবে গুরুতরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন ছিল। ব্যাঙ্কিং নীতিকে অমান্য করে তিনি নিজেই এমন একটি ঋণ অনুমোদনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী ছিলেন তাঁর স্বামী। ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই (CBI) ইডি (ED)। ২০১৯ সালে এফআইআর দায়ের হয়। ২০২২ সালে কোচর দম্পতিকে গ্রেফতারও করে সিবিআই, যদিও পরে বম্বে হাই কোর্ট তাঁদের গ্রেফতারি প্রক্রিয়াকে ‘আইনবহির্ভূত‘ বলে আখ্যা দেয়। ইডি ইতিমধ্যেই দীপক কোচরের সংস্থার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ট্রাইব্যুনাল রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই ঘুষ লেনদেন পুরোপুরি পরিকল্পিত ছিল এবং এতে ভিডিয়োকনের তৎকালীন কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত-এরও সক্রিয় ভূমিকা ছিল। মামলার শুনানিতে বলা হয়, সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ঘুরিয়ে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছিল যাতে সরাসরি যোগসূত্র ধরা না পড়ে। চন্দা কোচর এখনও এই অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, “চন্দা কোচর কখনও কোনও ব্যক্তিগত লাভের কথা মাথায় রেখে ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেননি। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।” সিবিআই ও ইডি’র তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত চার্জশিট পেশ করে মূল বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আরও পড়ুন : বিরাটদের উপার্জনের অঙ্ক ফাঁস করলেন শাস্ত্রী
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–