বাংলায় কথা বলায় ডবলইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। এই নিয়ে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ গেলে এবার বিজেপি নেতাদের বাড়ির কাছে গিয়ে প্রতিবাদ হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল (TMC)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৭ জুলাই বীরভূম দিয়েই ‘বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলন’ শুরু করছেন। এরপর তিনি যে জেলায় যখনই যাবেন, সেখানেই তিনি বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মহামিছিল করবেন বলে জানিয়েছেন। এই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি-২ ব্লকের শুক্রাবাদের শ্রমিকদের ওড়িশায় বিজেপি (BJP) সরকার আটকে রেখে অত্যাচার করেছিল। শুধু তাই নয়, এই জেলার পাইকরের পরিযায়ী শ্রমিকরা দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলায় গেরুয়া সন্ত্রাসের মুখে পড়েছিলেন। বুধবার জেলা তৃণমূল কমিটির চেয়ারম্যান তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান এই নিয়ে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিপুল সারা পড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্তে যদি ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ পড়ে, কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়, তবে সেই এলাকার বিজেপি নেতাদের বাড়ির কাছাকাছি ঘেরাও-প্রতিবাদ সভা করবে তৃণমূল। দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিজেপি নেতাদের বাড়ির আশপাশে এমন কোনও জায়গায় প্রতিবাদ সভা হবে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়।
কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে তৃণমূল সভানেত্রী ঘোষণা করেছেন, “বিজেপির এই ভাষা সন্ত্রাস নিয়ে প্রতি শনি ও রবিবার ব্লকে ব্লকে মিটিং-মিছিল, পথসভা, সমাবেশ করতে হবে তৃণমূলকে। সমস্ত কর্মসূচিতেই এলাকার বিশিষ্টদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও শামিল করতে হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত ‘ভাষা আন্দোলন’ শুরু নিয়ে ব্লকে ব্লকে, জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বীরভূমের পাশাপাশি সমস্ত জেলাতেই তৃণমূলের তরফে বিজেপির এই ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরুর প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। কলকাতায় গান্ধীমূর্তিতে তৃণমূলের ছাত্র-যুব-মহিলাদের পাশাপাশি ক্রীড়া জগৎ ও সংস্কৃতি জগতের তরফেও ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসাবে ধর্না কর্মসূচি শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের নেতৃত্ব। আইনজীবী ও চিকিৎসকদের পাশাপাশি শিক্ষক মহল, শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক-বিদ্বজ্জনদের পাশাপাশি সিনেমা ও টেলি জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরাও বাংলা ভাষার উপর গেরুয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পথে নামবেন।
আরও পড়ুন – স্কুলে ছাত্রীকে ছাতা দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_