তৃণমূলের এক নেতা ও আরেক সাসপেন্ডেড নেতার অনুগামীদের মধ্যেই সংঘাতে উত্তপ্ত সিঁথি এলাকা। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় চলা গোলমাল রাতে বড় আকার নেয়। রেশ চলে বৃহস্পতিবার সকালেও। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান ডাঃ শান্তনু সেন। আর দাবি সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। অতীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বহুবার তাঁকে ফোন করা হলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ফোন ধরেননি।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন স্থানীয় কাউন্সিলর কাকলি সেন, তাঁর স্বামী ডাঃ শান্তনু সেন ও তাঁর অনুগামীরা। এক বৃদ্ধাকে চড়ও মারার অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এরপরই শান্তনুদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অতীন ঘোষের অনুগামীরা। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী আসে।

এই বিষয় নিয়ে শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার যা বলার, আমি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমার পুলিশ-প্রশাসনের উপর আস্থা রয়েছে। আমার বাড়ির আশপাশে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা আছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কী হয়েছিল, কারা এসেছিল।’’ সরাসরি অতীন-অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শান্তনু বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই জানা যাবে, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে যারা মিছিল করেছিল তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন এলাকার বাসিন্দা। বাকি প্রচুর সংখ্যক বহিরাগত।”

শান্তনুর আরও অভিযোগ, ৭ এপ্রিল দমদম রোডে কাউন্সিলর ডাঃ কাকলি সেনকে যারা নিগ্রহ করেছিল, তারাও এই গোলমালে ছিল। তবে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে যে বয়স্ক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেন ডাঃ শান্তনু সেন। তাঁর মতে, মিথ্যাচার করে লাভ হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই সব সত্য সামনে আসবে। প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য অতীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অন্তত ৩৫ বার ফোন করা হলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন – ভারত থেকে নিয়োগ নয়! গুগল-মাইক্রোসফটকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের, চিন্তা তথ্যপ্রযুক্তি মহলে

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_