২০০৬-এর মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণ (Mumbai Train Blast) মামলায় বম্বে হাই কোর্টের রায়ে (Bombay High Court) স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১২ জন আসামীকে বেকসুর খালাসের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। বৃহস্পতিবার, বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ বম্বে হাইকোর্ট আসামীদের বেকসুর খালাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

২০০৬ সালের ১১ জুলাই সেই ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৭ জন নিহত ও ৮২৯ জন আহত হন। মুম্বইয়ের শহরতলি ট্রেন লাইনের সাতটি শাখায় লাগাতার বিস্ফোরণ হয়েছিল। ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৫ জন নিখোঁজ। তাদের কয়েকজন পাকিস্তানি বলেও অভিযোগ। ২০০৬ সালের নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের সংগঠিত অপরাধ দমন শাখা (MCOCA) ও ইউএপিএ-র (UAPA) বিভিন্ন ধারায় সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী (ATS) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। ২০১৫ সালে বিচারাধীন আদালতে ১২ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এবছর ২১ জুলাই মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকে বেকসুর খালাস করে বম্বে হাই কোর্ট। ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত পাঁচজনকেও মুক্তির নির্দেশ দেয় বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম সি চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের যুক্ত ছিল, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করতে প্রসিকিউশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অভিযুক্তরা অপরাধী চেষ্টা মানতে কষ্ট হচ্ছে।

এর বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানান। বলেন, “আমরা চাই এই রায় স্থগিত করা হোক। কারণ হাই কোর্টে কিছু অনুসন্ধান রয়েছে যা অন্যান্য বিচারাধীন এমসিওসিএ বিচারাধীন মামলা প্রভাবিত করতে পারে।“ এই যুক্তি মেনে নিয়ে বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানায়, “আমরা মনে করি, এই রায়কে নজির হিসেবে গণ্য করা হবে না। তাই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে।“ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বম্বে হাই কোর্টের রায়কে নজির হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না।
আরও খবর: শিশু কন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা রদ, পরিবর্তে ৬০ বছরের কারাদণ্ড

–

–
–

–

–

–
–
–

–

–