মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ২ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। এখন রাজ্যজুড়ে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের (Manol Panth) নেতৃত্বে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তার পরেই এই কর্মসূচির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা মান্য কার্যবিধি প্রকাশ করেছে নবান্ন। সেখানে বলা হয়েছে আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। পুজোর দিনগুলি বাদ না দিয়েই জেলার প্রতিটি ব্লকে, গ্রামে বা শহরাঞ্চলে শিবির করে স্থানীয় সমস্যার খতিয়ান তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঠিক কী কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না।
SOP অনুযায়ী,
মূলত ১৫ ধরনের কাজ করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। তার মধ্যে রয়েছে- নিকাশি নালা নির্মাণ বা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, জলের ট্যাঙ্ক বসানো, রাস্তায় আলো বসানো, কমিউনিটি টয়লেট তৈরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামত, খেলার মাঠ নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রং করা, শৌচাগার মেরামত, পুকুর সংস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা, কমিউনিটি শেড তৈরি, বাজার বা বাসস্টপে আলো ও ছাউনি বসানো। এই তালিকায় রয়েছে এমন সব কাজ যা স্থানীয় মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং তুলনায় কম সময়ে কম খরচে সম্পন্ন করা যায়।
এতদিন সরকারি প্রকল্পে কিছু ক্ষেত্রে যে ধরনের কাজ করা হত, তার অনেকটাই বাদ গিয়েছে এই কর্মসূচিতে। এসওপি-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বড় ধরনের নির্মাণ কাজ যেমন নতুন স্কুল, আইসিডিএস কেন্দ্র বা সরকারি দফতরের ভবন তৈরি করা যাবে না। জমি কেনা বা ভাড়া নেওয়াও নিষিদ্ধ। প্রকল্পে ব্যবহারযোগ্য জমি অবশ্যই সরকারি হতে হবে অথবা এমন জমি, যেটি নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা নেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন জিনিস, যেমন বাইক বা জলের পাম্প দেওয়া যাবে না। সরকারের বক্তব্য, প্রকল্পটি জনসমষ্টির উপকারে আসার জন্য, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়। প্রশাসনিক খরচ, অফিসের জন্য সামগ্রী কেনা কিংবা সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার কোনও ব্যয় বরাদ্দ এই প্রকল্পে করা যাবে না। তদুপরি, কোনও আদালতে বিচারাধীন বিষয়, প্রশিক্ষণ কর্মশালা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য কোনও বরাদ্দ থাকবে না।
সরকারি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল কম খরচে দ্রুত ফলদায়ক কাজ করা, যাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হন। যে সব কাজের স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে ওঠে না, অথবা যা খরচে বেশি ও বাস্তবায়নে ধীর—সেগুলিকে এই প্রকল্পের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এইভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখাই সরকারের লক্ষ্য।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–