ট্রাম্পের নাম শুনলে নরেন্দ্র মোদির উচ্চতা ও বুকের ছাতি কমে যায়। সংসদে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন সোমবার তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কার্যত সেটাই সত্যি প্রমাণিত হল মোদির কথায়। বিশ্বের কোনও দেশের চাপে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে যাইনি, দাবি করলেও নিজের বক্তব্যে কোথাও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রসঙ্গ তুললেন না নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই ফের একবার মোদির বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

পহেলগাম হামলা ও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে অবশেষে লোকসভায় নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব, বিরোধীদলকে বিভিন্নভাবে নিশানা করার পাশাপাশি বিদেশি প্রভাব সম্পর্কেও জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন। বিরোধীদের তরফ থেকে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কেন এখনও নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে বললেন না ভারত পাকিস্তান দ্বন্দ্ব থামাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯ বার যে দাবি করেছেন তা সত্যি নয়। নিজের বক্তব্যের মধ্যে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

লোকসভার বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বের কোন দেশের নেতা ভারতকে সংঘর্ষ থামাতে নির্দেশ দেয়নি। তিনি বর্ণনা করেন, ৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরতে পারেননি। পরে যখন ফের তাঁকে মোদি ফোন করেছিলেন তখন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান পাকিস্তান বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাল্টা মোদির দাবি, তিনি জানিয়েছিলেন পাকিস্তান বড় হামলা চালালে বড় ফল ভোগ করতে হবে। এটাই ছিল তাঁর উত্তর।

স্পষ্টতই তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন মার্কিন চাপে ভারত সংঘর্ষ থামায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতিদিন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ থামানোর যে দাবি করছেন তা মিথ্যা।

একদিন আগেই ট্রাম্প স্কটল্যান্ডে গিয়েছেন। সেখানেও একটি বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব তিনি থামিয়েছেন। সেই ভিডিও তুলে ধরেই তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তবে কী মোদির ‘বন্ধু’ প্রকাশ্যেই মোদির বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন?

সোমবার ও মঙ্গলবার অপারেশন সিন্দুর-এর উত্তরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সায়নী ঘোষ ক্রমাগত দাবি করেছেন কেন মোক্ষম সময়ে গিয়ে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার পথ থেকে সরে এলো ভারত। কোনও চাপের কাছে মাথা নত করেনি ভারত, এই দাবি করলেও কেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর দখল না করেই পিছিয়ে গেল ভারত, মঙ্গলে তারও উত্তর দিতে পারলেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন – বাংলা বললেই বাংলাদেশি? বাংলাভাষী মানুষদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ

_

_

_

_
_
_
_
_