দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ পাঠানোয় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করল রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এই বিষয়ে সরব হন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু। নাম না করেই বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর বক্তব্য—“বাংলার দুর্গাপুজোকে ছোট করার চক্রান্ত চলছে।”
শাশ্বতের অভিযোগ, “কেউ কেউ বলেন বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না! আবার ক’দিন আগেই কেউ এসে বলে গেছেন ‘জয় মা দুর্ঘা’। আগে দুর্গাটা ঠিক করে বলতে শিখুন। বাঙালি তো ‘ঘ’ মানে বোঝে ‘ঘা’। আপনারা তো বাঙালিকে ঘা দিয়েছেন—পুজোর আগে ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ পাঠিয়ে।” তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িত অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি, যুক্ত রয়েছেন ২০–২৫ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষ। পরিবারের হিসাবে সংখ্যাটা এক কোটিরও বেশি।
এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি শাশ্বতের সঙ্গে একমত। অনেকেই বলে এখানে নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। আবার কেউ কেউ পুজো নিয়ে কোর্টে যান, প্রশ্ন তোলেন কেন রাজ্য সরকার সাহায্য করছে। তাঁরা জানেন না, এই পুজো বাংলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। প্রতিমাশিল্পী, লাইট-কর্মী, খাবারের দোকানদার, নিরাপত্তারক্ষী—সকলের রুজিরুটি জড়িয়ে এই উৎসবের সঙ্গে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “ওরা বুঝবে না দুর্গাপুজো মানে কেবল ধর্ম নয়, এটা বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার গর্ব।” তাঁর সাফ বার্তা, “বাংলার সংস্কৃতিকে ঘা দেওয়ার চেষ্টা হলে আমরা চুপ থাকব না।” এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। বাংলার বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপুজোর আগে এমন কর নোটিশ আদৌ স্বাভাবিক কি না—তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে পুজো কমিটিগুলি।
আরও পড়ুন – মেট্রো রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কত? সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন রেলমন্ত্রী
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_