বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র(Mahua Maitra) সংসদে (Parliament) মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন। পুরশুড়ার রাস্তায় এক ‘তৃণমূল সমর্থকের’ সঙ্গে শুভেন্দুর ‘জয় বাংলা বনাম জয় শ্রী রাম’ ‘বচসা’ নিয়ে এবার দেশের সংসদে কথা উঠল। লোকসভায় জমা দেওয়া অভিযোগে মহুয়া মৈত্র(Mahua Maitra) লিখেছেন, “একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক স্থানীয় বাসিন্দাকে জয় বাংলা স্লোগান তোলার জন্য রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। জয় বাংলা স্লোগান এই রাজ্যের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত। বিরোধী দলনেতার এই আচরণ আসলে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধের নজির। সবথেকে বেশি আশঙ্কাজনক হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেই ব্যক্তির প্রতি আচরণ। তারা গাড়ি থেকে নেমে ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।”
এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। তিনি বলেন “এই কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন একদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ তেমনই দেশের সীমান্তকেও নিরাপদ রাখতে পারেননি। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাধারণ মানুষের প্রতি এমন আচরণেও কোনও পদক্ষেপ তিনি নেন নি। তাই ওনার এই পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত। গতকাল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরা কনভয় থামিয়ে এক গরিব গ্রামবাসীকে শুধুমাত্র “জয় বাংলা” বলার জন্য হুমকি দেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় বাহিনী ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা ঠেকাতে পহেলগাম সময়মতো পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু বাংলায় সাধারণ মানুষকে দমন করতে হলে, ঠিকই পুরো শক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ওদের অগ্রাধিকারের আসল চিত্রটা সত্যিই লজ্জাজনক। ধিক্কার।”
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘’পহেলগাম যখন সন্ত্রাস হানা হল, তখন এক ঘণ্টা অবধি কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে দেখা গেল না। আর গ্রাম বাংলায় বিরোধী দলনেতা একজন গরিব মানুষকে বলছেন, মেরে তার চামড়া গুটিয়ে নেবে, সেই সময় বাহিনী তাতে মদত দিচ্ছে। এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ?’’
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–