দেবনীল সাহা
দুর্গাপুজো (Durga Pujo) এখনও মাসখানেক দূরে, কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে ইতিমধ্যেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benerjee)। বৃহস্পতিবার রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন— “দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এ রাজ্যের শিল্প, সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”

সেই মতোই এবছরও পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর থাকছে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ফলে উদ্যোক্তাদের জন্য এই অনুদান ও রেয়াতি সুবিধা এবারের দুর্গাপুজোকে আরও বড় পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাশাপাশি কুমোরটুলি (Kumortuli) সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মৃৎশিল্পীরাও জানিয়েছেন, এবছর প্রতিমার চাহিদা আগের বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশি। কুমোরটুলির মৃৎশিল্প সাধন পালের কথায়, আগেরবারের চেয়েও প্রতিমার বায়না এবারে বেশি। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কর্মচারীদের মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু প্রতিমার অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ায় পুষিয়ে যায়। আবার গয়নাশিল্পী বাবু পালের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির জন্য সরকারি অনুদান চালু করায় নতুন পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। আমাদের মতো শিল্পীদের পসারও ব্যাপকহারে বেড়েছে

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্গাপুজো এখন শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির মুখ। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ জানান, “বছরে প্রায় ৮০-৯০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয় এই উৎসবকে ঘিরে। এত বড় অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে ছোট শিল্পী, হকার, ইভেন্ট কোম্পানি, হোটেল, আলো-সজ্জা ব্যবসায়ীর কাঁধে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দীপনায় এই চক্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।” আরও পড়ুন: ডিভিসির জলছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানে! পরিদর্শনে আরামবাগ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–