হাতে আর দুমাসও নেই, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেবীপক্ষের সূচনা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়গানের ধর্মীয় গাঁথা উৎসবের মেজাজে উদযাপিত হবে বাংলা জুড়ে। সেই প্রস্তুতির মাঝেই গত ৪ আগস্ট গিরিশমঞ্চে মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজার (Sashi Panja) উদ্যোগে সূচনা হল ‘উৎকর্ষিনী দুর্গাপুজো সম্মান ২০২৫’-এর। মঞ্চে হাজির বাংলা বিনোদন জগতের বর্তমান ‘দেবী চৌধুরানী’ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন তিনি। পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকেই বাংলার ব্যান্ডিট কুইনের জীবনকাহিনীর সিনে রূপান্তরের প্রথম ঝলকও (Devi Choudhurani pre teaser) প্রকাশ্যে এল।

‘উৎকর্ষিনী’ ২০২৫-র মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, দেবজ্যোতি বোস (Debojyoti Bose), বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিক, সাহিত্যিক, অভিনেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), গায়ক শুভঙ্কর ভাস্কর, চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন উত্তর কলকাতার বহু পুজো উদ্যোক্তারা। প্রতিবারের মতো এবারেও শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের শারদোৎসবে যাঁরা সৃজনশীলতা ও নৈপুণ্যের সাক্ষর রাখবেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘উৎকর্ষিনী’ সম্মান।

উত্তর কলকাতার (North Kolkata) শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রে একশোর বেশি পুজো হয়। তার মধ্যে তথাকথিত মাঝারি বাজেট বা ছোট বাজেটের পুজো গুলি নিয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সেরা প্রতিমা , সেরা মন্ডপ, সেরা অলঙ্কার, সেরা পুরোহিত, সেরা চালচিত্র, ভিউয়ার্স চয়েজ পুজো, হাত বাড়ালেই বন্ধু, পরিবেশ বান্ধব ইত্যাদি প্রায় ২১টি বিভাগের জন্য দেওয়া হবে ‘উৎকর্ষিনী দুর্গাপুজো সম্মান ২০২৫’। সোমবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। দুর্গাপুজোর আনন্দের সঙ্গে মিশে গেল তাঁর ছবির প্রচার। শ্রাবন্তী বলেন, ‘দুবছর ধরে গোটা টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম ফল ‘দেবী চৌধুরানী’। সকলকে এই ছবি দেখার পাশাপাশি পুজোর শুভেচ্ছাও জানান অভিনেত্রী।

শশী পাঁজার এমন উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বাকি অতিথিরাও। প্রতিযোগিতার বিচারক মন্ডলীর ক্ষেত্রে এই বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত সাতটা বিগ বাজেটের ঐতিহ্যবাহী, নামকরা পুজো কমিটির থেকেই একজন করে বেছে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, বাগবাজার সার্বজনীন, কাশীবোস লেন, কুমারটুলি সার্বজনীন, কুমারটুলি পার্ক, আহিরীটোলা যুববৃন্দ, আহিরীটোলা সার্বজনীন ও জগৎ মুখার্জি পার্ক। মন্ত্রী বলেন, একটা সুন্দর যোগসূত্র তৈরি করা এবং আগামী দিনে এই পুজোকমিটিগুলো যাতে আরও বেশি উৎসাহিত হয় এবং নিজেদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয় সেই অনুপ্রেরণা দিতেই এমন উদ্যোগ। শশী পাঁজার এই ভাবনার প্রশংসা করেন কুণাল ঘোষ। ‘উৎকর্ষিনী’র সাফল্য কামনা করে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

সোমবার বর্ণময় অনুষ্ঠানমঞ্চ মাতিয়ে দিলেন মসলন্দপুরের ঢাকশিল্পীরা। যাঁর চণ্ডীপাঠ ছাড়া মহালয়ার সকাল হয় না, বাঙালির দুর্গাপুজোর কথা উঠলেই যে নাম দোলা দিয়ে যায় বঙ্গ মননে, সেই প্রবাদপ্রতিম বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের জন্মদিন (৪ অগাস্ট) উপলক্ষ্যে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘও নিবেদন করা হয়। এক কথায়, মন্ত্রী শশী পাঁজার উদ্যোগে উত্তর কলকাতার পুজো সংস্কৃতির উৎকর্ষতার ঝলক মিলল সোমবারের অনুষ্ঠানে। পুজোর বাকি আর মাত্র ৫২ দিন।

–

–

–
–

–

–
–
–