নতুন খরিফ মরশুমে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহে উদ্যোগ রাজ্যের 

Date:

Share post:

নতুন খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চালু হচ্ছে ধান সংগ্রহ ক্যাম্প। সম্প্রতি খাদ্য ও সরবরাহ দফতর ও সমবায় দফতরের যৌথ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সমবায় ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুই দফতরের সচিব, বেনফেড, কনফেড এবং একাধিক সমবায় সমিতির প্রতিনিধিরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২৩৬৯ টাকা দরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহ করা হবে।

খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, প্রতিটি ক্যাম্পে প্রচারমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হবে। থাকবে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এবং ব্যানার। একই সঙ্গে, ক্যাম্পে বায়োমেট্রিক যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধান কেনার পর কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা স্থানান্তরের ব্যবস্থাও থাকছে আগের মতোই।

প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে ১৭৯টি মোবাইল সংগ্রহ কেন্দ্র। যার ফলে কৃষকদের আর দূরে যেতে হবে না, কাছাকাছি ক্যাম্পেই ধান জমা দেওয়া যাবে। গত মরশুমে রাজ্য সরকার সমবায় দফতরের মাধ্যমে ৯১৩টি পিএসএস কেন্দ্র থেকে ৯ লক্ষ টনেরও বেশি ধান সংগ্রহ করেছিল। এছাড়া, ১১টি ল্যাম্পস এবং ১২টি পিএমএসএস-এর মাধ্যমে যথাক্রমে ৬৮২৬ ও ১০৫৫৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার প্রায় সব চালই রাজ্যেই উৎপাদিত ধান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাইরে থেকে চাল আমদানি করার প্রয়োজন পড়ছে না। সমবায়মন্ত্রী জানান, একসময় কৃষকদের ৪২০-৪২৫ টাকা কুইন্টাল দরে ধান বিক্রি করতে হতো, এখন তাঁরা সরকারি সহায়ক মূল্যে অনেক বেশি দাম পাচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকেই চাল আমদানি বন্ধ হয়েছে এবং রাজ্যের কৃষকরা সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ সমবায়ে নতুন বোর্ড গঠিত হয়েছে, ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাত্রাও বেড়েছে। প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে বেনফেড, কনফেড এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি। প্রাথমিক প্রস্তুতি ৩১ অগস্টের মধ্যে সম্পূর্ণ করে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ক্যাম্প সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এই প্রকল্প শুধু ধান কেনার পরিকল্পনা নয়, বরং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য, স্বচ্ছ লেনদেন এবং দ্রুততার সঙ্গে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করার একটি পরিকাঠামোগত প্রচেষ্টা।

আরও পড়ুন – মেয়েকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা বাবার: রায় আসানসোল আদালতের

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

রাজ্যের হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: খতিয়ে দেখতে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব

আরজিকরের ঘটনার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমূল পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা থেকে সাধারণ নিরাপত্তা...

SIR-এ ভিন রাজ্যে থেকেও নাম তোলা যাবে: পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধা!

গোটা দেশের বিরোধী দলগুলির প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনী বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া দেশ জুড়ে চালু...

কেরলে নিহত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ নিয়ে গ্রামে পৌঁছল তৃণমূল নেতৃত্ব

রাজ্যে হোক বা রাজ্যের বাইরে। বাংলার মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত রয়েছে বাংলার প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেরলেয় নিহত...

বিশ্বসেরা ২ বঙ্গ তনয়া: টেবিল টেনিস ডাবলস ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে সিন্ড্রেলা-দিব্যাংশী, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার মুকুটে বিশ্বসেরায় নয়া পালক। বিশ্ব টেবিল টেনিসের (TT) অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের ডাবলস ব়্যাঙ্কিংয়ে (World Ranking) শীর্ষস্থানে দুই বঙ্গ...