আমেরিকার নতুন শুল্কনীতির জেরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ভারত থেকে রফতানি হওয়া একাধিক পণ্যে ২৭ অগাস্ট থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই অবস্থানকে ‘অন্যায্য’ বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন, যার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন, এবার সেই চিনই ভারতের পাশে দাঁড়াল। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং তাঁর এক্স হ্যান্ডলে নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘মস্তানকে এক ইঞ্চি জায়গা দিলে সে মাইলকে মাইল দখল করে নেবে।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশগুলিকে চাপে রাখতে চাওয়া রাষ্ট্রসংঘের বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী। এটা কখনও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।’’

ভারতের বাণিজ্যনীতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিদেশ মন্ত্রকও। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের নিরিখে ভারত তার নীতি নির্ধারণ করে। রাশিয়া যদি সস্তায় তেল দেয়, তবে ভারত সেটাই কিনবে। এতে অন্য কোনও দেশের অনাস্থা থাকলে, সেটি ভারতের নীতিকে বদলাতে পারে না।

এ দিকে ট্রাম্পের এই হঠাৎ সিদ্ধান্তের আবহেই আগস্টের শেষ সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই মুহূর্তে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মস্কোতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই পুতিনের সফরের কথা ঘোষণা করেন তিনি। রাশিয়ার তরফেও এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা স্পষ্ট। ট্রাম্পের ‘অন্যায্য’ শুল্কনীতির বিরোধিতা করে মস্কো জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গঠিত সম্পর্ককে এমন একতরফা সিদ্ধান্ত দিয়ে নষ্ট করা যায় না। এবার পুতিনের সফরে তিনি কী বার্তা দেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান কীভাবে আরও জোরদার হয়, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত যতই বাড়ুক, ভারত রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যালান্সের কূটনীতিকেই প্রাধান্য দিতে চাইবে।

আরও পড়ুন- ডিভিসির লাগাতার জলছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে! ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_