সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি
টলিউডের একের পরে হিট। একসময়ের প্রথম সারির নায়িকা শতাব্দী রায়। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড সময়ের হাত ধরে থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ। নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছেন আমজনতার সঙ্গে। স্বীকৃতি হিসেবে এবার পেলেন তৃণমূলের লোকসভার ডেপুটি লিডারের গুরুদায়িত্ব। জানালেন অনুভূতি কীরকম।
প্রশ্ন : বিনোদন জগৎ থেকে সংসদীয় দলে গুরুদায়িত্ব, সুদীর্ঘ যাত্রাপথ, লোকসভার ডেপুটি লিডারের দায়িত্ব দিয়েছে দল। আপনার অনুভূতি—
শতাব্দী : আমি কৃতজ্ঞ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ধন্যবাদ লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শীর্ষ নেতৃত্ব আমার উপরে আস্থা এবং ভরসা রেখেছেন। রাজনীতি টিম ওয়ার্ক। একার পক্ষে করা যায় না।
প্রশ্ন : লোকসভায় সতীর্থ সাংসদদের জন্য কোনও বার্তা?
শতাব্দী : রাজনীতিতে সর্বোপরি ‘আমি’ নয় ‘আমরা’ এই ভাবনা নিয়ে চলতে হবে। কাজ করতে হবে। দলের সুনাম রক্ষায় সমস্ত সাংসদকে সম্মিলিত হয়ে কাজ করতে হবে। অভাব-অভিযোগ থাকবে, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে। তবেই দল সমৃদ্ধ হবে।
প্রশ্ন : সিনেমা জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দান, অনেক ঝড়-ঝাপটা সামাল দিয়েছেন কীভাবে?
শতাব্দী : প্রথমদিকে গ্ল্যামার জগৎ থেকে মাঠে ময়দানে মানুষের মধ্যে গিয়ে কাজ করতে, খাপ খাওয়াতে অসুবিধে হত। কিন্তু বীরভূমবাসীকে যেদিন থেকে আপন করে নিয়েছি, তাঁরাও আমায় কাছে টেনে নিয়েছে। ভাবনা বদলে গেছে দ্রুত। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে একান্ত মনে একশো শতাংশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। এই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করেই সাফল্য এসেছে। তার ফল পেয়েছি।
প্রশ্ন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন, নেত্রী কোনও বিশেষ উপদেশ অথবা নির্দেশ দিয়েছেন?
শতাব্দী : মুখ্যমন্ত্রী কোনও নির্দেশ দেননি। তবে অভিষেকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর অভিষেক, কাকলিদি এবং আমি তিনজনে আলোচনায় বসি। লোকসভায় স্ট্রাটেজি ঠিক করা হয়। এটা টিম ওয়ার্ক। কারণ আলোচনা ছাড়া কোনওকিছুই সম্ভব নয়। অভিষেক আমাদের দলনেতা। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, বুদ্ধি, দূরদৃষ্টি লোকসভায় দলের পজিটিভ ভাইব্রেন্ট তৈরি করবে বলে আমরা নিশ্চিত।
প্রশ্ন : লোকসভার ডেপুটি লিডার হওয়ার পর বীরভূমের উন্নয়ন নিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করার পরিকল্পনা?
শতাব্দী : বীরভূমে তারপীঠের কালীমন্দির, একান্ন পীঠের রেপ্লিকা গড়ার স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। পর্যটকদের জন্য অবশ্যই তা খুব আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠবে। এই কাজ বাস্তবায়িত করতে হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক সমৃদ্ধি পাবেন বীরভূমের মানুষ।
প্রশ্ন : বীরভূমের উন্নয়নে প্রথম কীভাবে কাজ করেছেন?
শতাব্দী : রামপুরহাট প্রথম জিতে ছ–ফুকো রেল প্রকল্প দিদির জন্যই সম্ভব হয়েছে। তাঁর সহযোগিতায় এই রেলপ্রকল্প হয়েছে। তারপর রাজনৈতিক জীবনে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সিনেমা জগতের গ্ল্যামার মানুষের কাছে পৌঁছতে বাড়তি সুযোগ করে দিয়েছে৷
আরও পড়ুন- আউটস্ট্যান্ডিং-কমেন্ডেবল সার্ভিসের পুরস্কার! মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ পদক পাচ্ছেন ছয় পুলিশ আধিকারিক
_
_
_