ভারতীয় সামগ্রীর উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক লাগু করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক দেশ ভারতকে সহানুভূতি দেখাতে এগিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পথই বেছে নিয়েছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে কী আমেরিকার কাছে মাথা নত করছে ভারত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) শেষ বিবৃতিতে সেই ইঙ্গিতই প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মার্কিন চুক্তি বাতিল করা হয়নি। একদিকে যখন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক তলানিতে চলে যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রবল প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), সেখানেই আমেরিকার এত বড় সিদ্ধান্তের পরেও ভারতের নরম মনোভাব নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) তরফে শুক্রবারই জানানো হয় সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার সামরিক চুক্তি (defence deal) বাতিল নিয়ে যে রটনা প্রকাশ্যে এসেছে তা ভুল। আমেরিকার থেকে মার্কিন যুদ্ধবিমান (fighter jet) কেনার যে চুক্তি ছিল ভারতের, সেই চুক্তি বাতিল নিয়ে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত বলে জানায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা।

যে আমেরিকার কাছে প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করে ভারত বাৎসরিক বিপুল লাভ করে, সেখানেই এখন ৫০ শতাংশ শুল্কের (tariff) লাগাম পড়েছে। তা সত্ত্বেও আমেরিকার থেকেই প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনায় ভারতের সিদ্ধান্তের পিছনে রাশিয়াকেই কারণ হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। রাশিয়ার (Russia) থেকে শুধুমাত্র জ্বালানি তেল নয়, সামরিক সামগ্রী কেনা নিয়েও ভারতের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তাতেই দুই দিক বজায় রাখার কৌশল নিচ্ছে ভারত, এমনটাও মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আত্মত্যাগ ও সংকল্প: শ্রদ্ধায় স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

ইতিমধ্যেই সব দেশকে ছেড়ে কেন ভারতের উপরই ৫০ শতাংশ শুল্ক (tariff) লাগু হল, সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুল্ক লাগু হওয়ার পরের দিন তিনি দাবি করেছিলেন, এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি। শুল্ক লাগুর ক্ষেত্রে নতুন দেশের নাম জোড়া বা ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ কমানো নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা সেই বক্তব্যে ছিল। এরপরই ভারতের তরফ থেকে আক্রমণের পথে থেকে সরে এসে ফের তৈল মর্দনের পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, প্রশ্ন বিরোধীদের।

–

–

–
–

–
