যতবারই বাংলা কিংবা বাঙালির ওপর নেমে এসেছে অন্যায়ের খাঁড়া, গর্জে উঠেছে ফুটবল মাঠ। এবারও তার অন্যথা হল না। ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) পর এবার বাংলা ও বাঙালিকে বিদ্বেষের প্রতিবাদে গর্জে উঠল মোহনবাগান (Mohunbagan) সমর্থকরাও। শনিবারের যুবভারতীতে ফের উড়ল বাংলা বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের টিফো। বাংলা এবং বাঙালিকে যত হেনস্থা করার চেষ্টা হবে, প্রতিবাদের স্বর যে আরও চওড়া হবে তা ফের একবার বুঝিয়ে দিল কলকাতার আরেক প্রধান মোহনবাগান (Mohunbagan)। মনীষীদির ছবি দিয়েই যুবভারতীতেও প্রতিবাদ।

গোটা যুবভারতী (Yuvabharati Stadium) স্টেডিয়াম জুড়ে এদিন শুধুই প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল। বিগত বেশ কয়েদিন ধরে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের ওপর শুরু হয়েছে অত্যাচার। বাংলা ভাষা বলার অপরাধে বারবার বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে অত্যাচারের পরিমান বাড়িয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রশাসন। এরই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা রাজ্য জুড়ে তাঁরই উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভাষা আন্দোলনও।

তারই শরিক এবার কলকাতার ফুটবলও (Kolkata Football)। ফুটবল বরাবরই বাঙালির ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠে এসেছে। শনিবার মোহনবাগান (Mohunbagan) বনাম ডায়মন্ডহারবার (DHFC) ম্যাচেও ফের একবার প্রতিবাদের রং সবুজ-মেরুন। মার্তৃভাষার অপমানের প্রতিবাদে যুবভারতী জুড়ে শুধুই প্রতিবাদী টিফো।


কোথাও লেখা “বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ বাঙালির ভাষা, সত্য হউক সত্য হউক সত্য হউক”। আবার কোনও টিফোতে মার্তৃভাষাকে নিয়ে লেখা হয়েছে, “বাংলা আমার মার্তৃভাষা, আমার ধাত্রীভূমি আমরা মোহনবাগানী”।

গোটা যুবভারতী এদিন ঢেকেছিল বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষের প্রতিবাদের টিফোতে। রবীন্দ্রনাথ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের ছবিই এদিন মোহন জনতার প্রতিবাদের ভাষা। বাংলা এবং বাঙালির ওপর অত্যাচার যত বাড়বে, প্রতিবাদ যে ততটাই শক্তিশালী হবে তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

–

–

–
–

–

–