প্রবল যানজট। তাও আবার জাতীয় সড়কে। দেবেন্দ্র ফাড়নবিশের (Devendra Fadnavis) রাজত্বকালে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) প্রশাসনিক দুর্বলতায় বেঘোরে প্রাণ দিতে হল এক অসুস্থ রোগীকে। ঘটনাট ঘটে ৩১ জুলাই। পালঘরের (Palghar) মধুকর নগরের বাড়ির কাছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গুরুতর জখম হন ছায়া দেবী। পাঁজর, কাঁধ ও মাথায় চোট পান তিনি। পালঘরে কোনও ট্রমা সেন্টার না থাকায় স্থানীয় হাসপাতাল তাঁকে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে রেফার করে। প্রায় ১০০ কিলোমিটারের এই যাত্রা সাধারণত আড়াই ঘণ্টায় সম্পূর্ণ হয়। বিকেল ৩টের দিকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী কৌশিক পুরভ।

কিন্তু জাতীয় সড়ক NH-48-এ ভয়াবহ যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। তিন ঘণ্টা পার হলেও পথের অর্ধেকও অতিক্রম করা যায়নি। এর মধ্যেই দেওয়া অ্যানাস্থেসিয়ার প্রভাব কমতে শুরু করলে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন রোগী। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে অ্যাম্বুল্যান্স মুম্বইয়ের হিন্দুজা না গিয়ে মীরা রোডের অরবিট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্বামী কৌশিকের দাবি, “ডাক্তাররা বলেছিলেন, যদি মাত্র ৩০ মিনিট আগে হাসপাতালে পৌঁছতে পারতাম, তাহলে ছায়া বেঁচে যেতেন। চার ঘণ্টা ধরে তাঁকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখেছি। রাস্তা ভরা গর্ত, তার মধ্যে যানজট—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।” এই ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবি, একদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলা NH-48-এর যানজটের সমস্যা সমাধান জরুরি। অন্যদিকে পালঘরে অবিলম্বে উন্নত ট্রমা সেন্টার ও জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা চালু করা। আরও পড়ুনঃ প্রতিশ্রুতি মিটল কি: মোদির হাতে বেঙ্গালুরু ইয়েলো লাইন মেট্রো উদ্বোধনে রইল অনেক প্রশ্ন

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–
–