বিজেপি-শাসিত একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রম মন্ত্রকের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা লোকসভার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু উত্তর দিতে ব্যর্থ মোদি সরকার।

দেশজুড়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের হয়রানির খবর আসছে প্রতিদিনই। এমনকী বৈধ নথি থাকা নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ ব্যাকও করা হয়েছে। এই অভিযোগে তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সংসদে কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের কাছে বেশ কিছু লিখিত প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক (Abhishek Banerjee)। এই নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক। আর প্রত্যেকবারের মতো এবারও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। এবং এ বিষয়ে অভিষেকের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ তারা।

কেন্দ্রের কাছে অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন,
দেশে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন? ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা কি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন? সেটা হলে কতজন এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন? এই ধরনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করছে?

এর জবাব দিতে না পেরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি জাতীয় ডাটাবেস ‘eShram’ পোর্টাল চালু করেছে। ৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই পোর্টালে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা সারা দেশে ৩০.৯৮ কোটি।

মন্ত্রী শোভা করন্দলাজের দাবি পরিযায়ী বা অসংগঠিত শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে Inter-State Migrant Workmen (Regulation of Employment and Conditions of Services) Act, 1979 চালু রয়েছে। এই আইনের অধীনে বিভিন্ন সংস্থা শ্রমিকদের নিয়োগ ও ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, যাতায়াতের খরচ, ডিসপ্লেসমেন্ট খরচ, রেসিডেন্সিয়াল খরচ, চিকিৎসা সুবিধা, প্রতিরক্ষামূলক পোশাকের ব্যবস্থা করতে হয়। রাজ্য সরকারগুলিকেও এই আইন বলবৎ করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিষেকের প্রশ্নে সদুত্তর নেই কেন্দ্রের কাছে।

–

–

–
–

–
