ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে দুই ডাব্লিউবিসিএস সহ পাঁচজন কর্মীকে সাসপেন্ড ও এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের যুক্তি, তদন্ত ছাড়া শাস্তি বা এফআইআর স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। একবার শাস্তি দেওয়ার পর যদি অভিযুক্তরা নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে তাদের সম্মানহানি হবে, যার ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
সূত্রের দাবি, কমিশন একাধিকবার চাপ সৃষ্টি করেছে যাতে ২১ আগস্টের মধ্যে শাস্তি ও এফআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে হাজির হন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সহ মোট তিনজন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট কমিশনের প্রথম শাস্তির বার্তা দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি আধিকারিকদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেবে সরকার, কোনও পদক্ষেপ নয়। পরে ৮ আগস্ট কমিশন ফের চিঠি দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকার নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয়, যার পরেই মুখ্যসচিবকে তলব করা হয় দিল্লিতে।
আরও পড়ুন- ফের পদ্মরাজ্যে বাংলা শ্রমিকের উপর নৃশংস অত্যাচার! প্রাপ্য টাকা চাইতেই কেটে নেওয়া হল কান
_
_
_
_
_
_
_
_