রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার আরও এক ছবি প্রকাশ্যে। এবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল পদাতিক এক্সপ্রেসের (Padatik Express)। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ সফররত যাত্রীরা। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষও ওই ট্রেনে ছিলেন। তিনিও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি রানিনগর স্টেশনে (Raninagar) পৌঁছতেই পদাতিক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ফলে সেখানেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। পরে নতুন ইঞ্জিন নিয়ে এসে ট্রেনটিকে যাত্রা করানো হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন পরিষেবা নামের রীতিমতো ছেলেখেলা করছে রেল (Indian Railway)। কখনও বন্দেভারত কখনও এসি লোকালের নামে জনগণকে যতই রেলের অগ্রগতি আর উন্নয়নের ছবি দেখিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা হোক না কেন, আসলে যে ভারতীয় রেলের তরফে যাত্রীদের সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিয়ে যে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এদিন রানিনগর স্টেশনে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, বিনা পয়সায় তো আর নিয়ে যাচ্ছে না। তাহলে ট্রেন ছাড়ার আগেই কেন ইঞ্জিন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা হল না? যাত্রীদের কি টেকেন ফর গ্রান্টেড করে নিয়েছে রেল? এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থার তরফে কোনও উত্তর মেলেনি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–