লাল কার্পেট পেতে আলাস্কায় মার্কিন (America) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) আমন্ত্রণ জানালেও রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে এখন তুমুল জল্পনা বিশ্বে। নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে দেখানো ট্রাম্প এই বৈঠক নিয়ে কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেন নিয়ে যুদ্ধ বন্ধই হবে এই আলোচনার মূল লক্ষ্য। শনিবার ভারতীয় সময় সকাল ১০ টা নাগাদ আলাস্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হওয়ার কথা।
নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। বিশ্বে যেখানেই যুদ্ধ হচ্ছে তিনি তা থামিয়ে দিচ্ছেন বা থামানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবিও করে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধবিরতির শর্ত সম্পর্কে আলোচনা তাঁর লক্ষ্য নয়।” তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, যুদ্ধ থামা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে মোটেই তাঁর ভালো লাগবে না। তিনি চান এখনই সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হোক।
অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্পকে লাল কার্পেট অভ্যর্থনা জানানো হয়। স্থানীয় সময় রাত ১১:৩০ নাগাদ এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন ঘাঁটিতে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে বৈঠকে ট্রাম্প একা থাকবেন না, তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে রাশিয়ার পুতিনের সঙ্গে একের পর এক বৈঠকে কিছুটা রহস্যের আড়ালে ছিল। বন্ধ ঘরের ভিতরে শুধু একজন অনুবাদক থাকায়, ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা প্রায়শই স্পষ্ট ছিল না। সহকারীদের পক্ষে নিশ্চিত হওয়া কঠিন ছিল যে দুই ব্যক্তি কোনও চুক্তিতে পৌঁছেছেন কি না। জার্মানিতে এমন একটি বৈঠকের পর, ট্রাম্প তার দোভাষীকে নোটগুলি ফেলে দিতে বলেছিলেন।
শনিবারের অধিবেশনে দুই সহকারী- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ- যোগ করার ফলে বৈঠকটি শেষ হওয়ার পরে সঠিক খবর বাইরে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
–
–
–
–
–