একেই বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি। যত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। ভাষা সন্ত্রাস ও এসআইআর নিয়ে ঘরে-বাইরে অস্বস্তি বাড়ছে। আন্তর্জাতিক জগতে পরিচিত সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসেও বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের খবর ফলাও করে প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে। লজ্জায় মাথা হেঁট ভারতের। অন্যদিকে কোর্টের নির্দেশ আর বিরোধী শিবিরের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে নাকাল অবস্থা বিজেপির। এই অবস্থায় ২২ অগাস্ট মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime MInister)। ভোটের কথা মাথায় রেখে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ওই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
তারপরেই প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন ঘটা করে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণের চিঠি। বিগত ৬ মাসে প্রধানমন্ত্রী অন্তত দু’বার বাংলায় এসেছেন এবং সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ওই অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাহলে এবারে কেন?
তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট কথা
১. আজ যেগুলোর উদ্বোধন হচ্ছে, সেগুলো সবই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রেন চাইল্ড। বিজেপি সৌজন্য এবং ভদ্রতার রাজনীতি করে না, তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায় না। অথচ যেটা উদ্বোধন সেটাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ব্রেন চাইল্ড।
২. ভোট এগিয়ে আসছে। চাঁদ সওদাগরের মনসা পুজো দেওয়ার মতো করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তার কারণ, বিজেপি বাংলার মানুষের বিরোধিতা ও সমালোচনায় ভয় পেয়েছে।
৩. উন্নয়ন যদি করতে হয়, তাহলে ভেঙে পড়া রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাক।
শহরতলির ট্রেন সময়ে চলে না। অর্ধেক ট্রেন বন্ধ থাকে। দূরপাল্লার ট্রেন অপরিচ্ছন্ন, অব্যবস্থায় জর্জরিত। নিরাপত্তা শিকেয়। এগুলোর কী হবে?
আরও পড়ুন: জীবন গাড়ি সামনে বইয়া: দেশের মাটিতে পা রাখলেন মহাকাশচারী শুভাংশু
৪. রেলমন্ত্রী নাকি বাংলার রেল প্রকল্পে কত বরাদ্দ করা হয়েছে, তার ফিরিস্তি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বলতে হয়, তাহলে যেবার ১টাকা বরাদ্দ হয়, তখনকার কথা কেন বলছেন না? বাংলাকে এই বঞ্চনার কারণেই রেলের রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি এবং গড়িয়ায় ফাটলের ঘটনা তারই পরিণতি।
–
–
–